দুর্গাপুরে কোটি টাকা ছিনতাইয়ে এবার ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার এক পড়ুয়া
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৩ সেপ্টেম্বরঃ
দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলার কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই বোঝা যাচ্ছে এই ঘটনার জাল বহু দূর পর্যন্ত্য বিস্তৃত রয়েছে। দুর্গাপুরে তিন পুলিশ কর্মী সহ ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ঘটনার পরের দিনই। এরপর তদন্ত চলতেই থাকে আর ৫ সেপ্টেম্বরের পর এখনো পর্যন্ত্য আরো বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে যার মধ্যে মধুসূদন বাগ নামে এক যুবককে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ধৃতদের জেরা করে সাথে নানা সুত্র ধরে ঝাড়খন্ডের রাঁচির সুখদেবনগর থানা এলাকা থেকে আরো এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ধৃত অঙ্কিত সিং ইটভাটা চালান বলে জানা গিয়েছে, পাশাপাশি সে কমার্স নিয়ে কলেজে পড়ছে বলেও দাবি করে। বৃহস্পতিবার অঙ্কিত সিংকে গ্রেফতার করে স্থানীয় আদালতে হাজির করে ট্রানজিট রিমান্ডে দুর্গাপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ শুক্রবার ফের তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মুকেশ চাওলার কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার ‘মাস্টার মাইন্ড’ ছিল এই মধুসূদন বাগ। বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের টাকা তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা হলে তার জন্য সে মূল টাকার ১৫ শতাংশ টাকা কেটে নিতো। মুকেশ চাওলা এই ছিনতাই কাণ্ডের অন্যতম মাথা মধুসূদন বাগের যে একাউন্টে ৫০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন। সেটি ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কল্যাণী শাখায় মধুসূদনের কল্যাণী ভান্ডার নামের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মধুসূদনের বিভিন্ন কোম্পানির নামে নানান জায়গায় সাতটি ব্যাংক একাউন্টের হদিশ পেয়েছে।এদিকে এই ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটিও পুলিশ আগেই বাজেয়াপ্ত করেছে। রূপনারায়ণপুর থেকে ওই গাড়িটি নিয়ে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলাকে বসিয়ে চালক অজয় দাস এবং সুরজ কুমার কলকাতা যাওয়ার পথে দুর্গাপুরে গাড়ি থেকে টাকার বাক্স নিয়ে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। সেই গাড়িটিও মধুসূদনই দিয়েছিল। আর সেই গাড়িটি ধৃত অঙ্কিত সিং এর ইটভাটা থেকেই উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। এই মধুসূদনের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল দুর্গাপুর থানার এক এ এস আই এর বলে অভিযোগ।এদিকে রূপনারায়পুরের মহাবীর কলোনির এক যুবক।ধৃত যুবকের নাম গৌতম চট্টোপাধ্যায়।তাকে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ১১ই সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে ১২ই সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।ধৃত গৌতমের সাথে অজয় দাসের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই কেলেঙ্কারির চক্র বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে কমিশনারেটের পুলিস ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকজন অভিযুক্তকে খুঁজছে।মধুসূদন পুলিশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক।