দুর্গাপুরে নয় মাসের সন্তানকে আছড়ে খুন করে আত্মঘাতী বাবা
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৩ জুলাইঃ
নয় মসের পুত্র সন্তানকে আছড়ে মেরে আত্মঘাতী হলেন বাবা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে, দুর্গাপুরের ২৮ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোপীনাথপুরের রুইদাস পাড়ায়। মৃত ব্যাক্তির নাম আবীর রুইদাস(৩০)। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, রুইদাস পাড়ায় থাকেন আবীর রুইদাস। ওই ব্যাক্তি পেশায় দিনমজুর। স্ত্রী সরমা রুইদাসও দিনমজুরেরই কাজ করেন। এই দম্পতির এক পুত্র সন্তান সুজন রুইদাস যার বয়স মাত্র নয় মাস। এই দম্পতির মধ্যে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকতো। আজ শনিবার সকাল থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এদিকে বিছানায় শুয়ে খেলছিল ওই এক রত্তি শিশুটি। অশান্তি যখন চরমে ওঠে তখন আচমকাই সুজনের বাবা তাঁকে বিছানা থেকে তুলে মাটিতে আছড়ে ফেলে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এদিকে হতভম্ব আবীরবাবুর স্ত্রী সরমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ছুটে আসেন সরমাদেবীর জা। তিনি ওই এলাকার প্রাক্তন পুরমাতা অঙ্কিতা চৌধুরীকে খবর দেন। এদিকে সকলে তাড়াতাড়ি শিশুটিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সিসুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সুজনের। এদিকে কিছু সময় পরেই খবর আসে সুজনের বাবা আবীরবাবু রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
সরমাদেবী বলেন, “গত তিনদিন ধরেই আমার বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে অশান্তি করছিল সুজনের বাবা। আজ সকালে আমি কাজের থেকে আসার পর আমাকে রান্না করতে বলে। আমি রান্না করি। ছেলে খেলছিল। তারপর বাচ্চাটাকে খাইয়ে দিই। তারপরেই ফের বাপের বাড়ি যাবো বলাতেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি। এর মধ্যেই সুজনের বাবা ওকে (ছেলেকে) প্রথমে খুব মারধর করে তারপর তুলে মাটিতে আছাড় মেরে ফেলে দেয়।”
প্রাক্তন পুরমাতা অঙ্কিতা চৌধুরী বলেন, “আমি খবর পেয়েই ছুটে আসি। বাচ্চাটিকে বর্ধমানে রেফার করে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি। কিন্তু তাতেও বাঁচানো গেল না বাচ্চাটিকে। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।