জলের নিয়ন্ত্রণে আধুনিকতার ছোঁয়া, কোটি টাকা ব্যায়ে দুর্গাপুর ব্যারেজে বসছে স্কাডা যন্ত্র
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২০জুনঃ
কোন ড্যাম্প থেকে কত পরিমান জল ছাড়া হচ্ছে এই তথ্য জানতে এতদিন হয় ফোনে নচেৎ সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তথ্য পেতে হতো সেচ দফতরের আধিকারিকদের। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে বদলে যাচ্ছে পুরো ছবিটা। এক নতুন বিপ্লব আসতে চলেছে সেচ দফতরে। স্কাডা সেন্টারের মাধ্যমে এবার এক জায়গা থেকেই অত্যাধুনিক মানের যন্ত্রের মাধ্যমে মনিটরিং করা যাবে জল ছাড়ার পরিমান। কতগুলো গেট থেকে জল ছাড়া হচ্ছে, মাঝপথে বৃষ্টির দরুন যদি কোনো বাঁধ থেকে জল ছাড়তে বাধ্য হতে হয় তাহলে তার পরিমান কত, কোন বাঁধের কত নম্বর গেট থেকে কত জল ছাড়া হচ্ছে সেই তথ্যও মিলবে এই স্কাডা সেন্টারের মাধ্যমে। দুর্গাপুর ব্যারেজে গত বছর থেকে এই স্কাডা সেন্টারের কাজ শুরু হয়েছিল, প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় করে এই অত্যাধুনিক মানের স্কাডা সেন্টার শুরু হতে চলেছে দুর্গাপুরে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে এই স্কাডা সেন্টারের কাজ। মাইথন,পাঞ্চেত দুর্গাপুর যেখান থেকেই জল ছাড়া হোক না কেন আগাম তথ্য যেমন ফোনে দেওয়া হতো তেমনই থাকবে, সাথে থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান, কিন্তু এতদিন মাঝপথে কোথাও বৃষ্টি হলে সেই তথ্য পাওয়া সম্ভব নয় এখন, যার ফলে জলের পরিমান সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যেত না। এর ফলে জলের পরিমান বেড়ে গিয়ে প্লাবিত হয়ে যেত এলাকা, তৈরী হতো বন্যা পরিস্তিতি,ক্ষতি হতো মানুষের, আর এবার স্কাডা সেন্টার আগাম তথ্য দেবে মাঝপথে প্রবল বৃষ্টির জন্য জলের পরিমান বেড়ে গেলে।
সেচ দফতরের চিফ এক্সেকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিং জানান, অত্যাধুনিক মানের এই মনিটরিং সিস্টেমে উপকৃত হবেন তারা। একই সাথে সেচ দফতরের এই আধিকারিক জানান দুর্গাপুরের এই অত্যাধুনিক মানের স্কাডা সেন্টার যাতে ভালো করে কাজ করতে পারে তার জন্য স্কাডা সেন্টারের কাজ শুরুর আগেই দুর্গাপুর ব্যারেজের এগারোটি গেট ধাপে ধাপে দ্রুততার সাথে পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে দুর্গাপুর ব্যারেজে অত্যাধুনিক মানের স্কাডা সেন্টারের কাজ শুরুর তৎপরতা শুরু হওয়ায় এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা, কারণ জল ছাড়ার পরিমান নিয়ে খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য মিলবে এই স্কাডা সেন্টারের মাধ্যমে তাতে করে অত্যাধুনিক এই যন্ত্রের মাধ্যমে আগাম তথ্য অনেক আগেই মিলবে। এতে সাধারণ মানুষকে ক্ষতির থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে।