কাঁকসায় বৃদ্ধ ভাতার নামে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তৃনমূল কর্মীর বিরুদ্ধে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৫আগটঃ
বৃদ্ধভাতা পাইয়ে দেওয়ার নামে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কাঁকসা ব্লকের ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধোবারু গ্রামের। যদিও এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল কর্মী।
জানা গেছে, ধোবারু গ্রামের বাসিন্দা সুদর্শণ মোহান্ত তাঁর স্ত্রীর সাথে ওই গ্রামে বসবাস করেন। সুদর্শণবাবু জানান তিনি ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই অসুস্থ। তিনি যেটুকু আয় করেন তার বেশিটাই চলে যায় ওষুধের পেছনে। তাই তিনি ওই এলাকার তৃনমূল কর্মী বিশ্বজিৎ ঘোষ ওরফে লালুকে বলেন যদি তাঁকে বৃদ্ধ ভাতার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। কিন্তু বিশ্বজিতবাবুর অভিযোগ বছর তিনেক আগে এই বৃদ্ধভাতা পাইয়ে দেওয়ার জন্য সুদর্শণবাবুর কাছে দশ হাজার টাকা দাবি করেন। সুদর্শণবাবুর অভিযোগ এতটা টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই বলে তিন বছর ধরে সমস্ত নথিপত্র দেওয়ার পরেও তিন বছর ধরে তাঁকে ঘুরিয়ে যাচ্ছেন ওই তৃনমূলকর্মী। শুধু তাই নয় এও অভিযোগ উঠছে যে ওই এলাকারই অপর এক বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক শুভদীপ বন্দোপাধ্যায় বৃদ্ধ ভাতার নামে কাটমানি চাওয়ার বিষয়টি ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের সদস্য অজিত রায়ের কাছে অভিযোগ জানালে তাঁকেও গালিগালাজ ও মারার হুমকি দেন ওই তৃনমূল কর্মী বলে অভিযোগ করেন শুভদীপবাবু।
এদিকে কাটমানির বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ওই তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিতবাবু। তবে পঞ্চায়েত সদস্য অজিত রায় জানান যে বিশ্বজিতবাবু সুদর্শণবাবুর কাছে যে দশ হাজার টাকা চেয়েছেন তা তিনি অজিতবাবুর কাছে স্বীকারও করেছেন। এই বিষয়টিকে অত্যন্ত নিন্দনীয় বলেছেন পঞ্চায়েত সদস্য অজিত রায় সাথে বিষয়টি দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।