দুঃস্থ ছাত্রীর চোখের চিকিৎসার জন্য খনি অঞ্চলে এগিয়ে এলো এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৮জুনঃ
হঠাৎই ছাত্রীর চোখের দৃষ্টি সাময়িকভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দৃষ্টি ফিরলেও আগামী দিনে দৃষ্টিহীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা । মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন তাঁর অভিভাবকেরা। অবশেষে ছাত্রী চোখের চিকিৎসার খরচ যোগানোর জন্য এগিয়ে এসেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ঘটনাটি উখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের চনচনি এলাকার।
ছাত্রীর মা রেহানা খাতুন জানান তার স্বামী দিনমজুর। তিন মেয়ে এক ছেলে নিয়ে তাদের পরিবার। বছর ষোলোর বড় মেয়ে স্থানীয় স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। মাস দুয়েক আগে পড়ার সময় হঠাৎই মেয়ের বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছিল। কিছুদিন পর চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরলেও চোখটি বিকৃত (ট্যারা) হয়ে যায়। দ্রুত চিকিৎসা না করালে আগামী দিনে বরাবরের মতো দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানান, যা শুনে স্থানীয় চিকিৎসকদের পাশাপাশি একাধিক বড় হাসপাতালেও ছুটে যান তারা । চোখের বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তার জন্য হাজার দশেক টাকার প্রয়োজন। লকডাউন এর কারণে বর্তমানে স্বামীর কোন কাজ নেই। পাশাপাশি রেহানাদেবীর আরো অভিযোগ পরিবারের একশ দিনের কাজের বই থাকলেও কোনো কাজ তারা পায়নি। তাই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা গ্রাস করে গোটা পরিবারকে। মেয়েটির পরিবারের আর্থিক কথা জানার পর ‘ডোনার ক্লাব’ নামে একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে আছে মেয়েটির চিকিৎসার জন্য।
সংস্থার সভাপতি পাপাই দাস বলেন বিষয়টি জানার পর তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আমরা মেয়েটির চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছি । বৃহস্পতিবার মেয়েটির বাড়ি গিয়ে চিকিৎসার প্রাথমিক খরচের জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে নগদ ও চেক সহ দশ হাজার টাকা তুলে দেন। সেই সাথে এক মাসের জন্য রেশন ও আনাজপাতি ও দেওয়া হয়েছে পরিবারটিকে । সংস্থাটির স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্য পেয়ে খুশি ছাত্রীর পরিবার। ছাত্রীর মা রেহানা দেবী বলেন মেয়ের চিকিৎসার জন্য সংস্থার অবদান কোনদিন ভুলবো না। এরা আমার কাছে ভগবানের সমতুল্য।