লকডাউন অমান্য করার অপরাধে দুর্গাপুরে গ্রেফতার প্রায় ৭০ জন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(বাঁকুড়া, দুর্গাপুর), ১১সেপ্টেম্বরঃ
কোভিড চেন ভাঙ্গতে রাজ্য সরকার প্রতি মাসে দফায় দফায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে, সেই মতো চলতি মাসের আজ দ্বিতীয় দিনের সম্পুর্ণ লকডাউনের দিন ছিল। করোনার আক্রমনের হাত থেকে রাজ্যবাসীকে বাঁচাতে এই লকডাউন যাতে মানুষ যথাযথ মেনে চলে তার জন্য প্রশাসনিক নজরদারি ছিল সকাল থেকে। প্রশাসন যেমন একদিকে সক্রিয় ছিল সকাল থেকে তেমনই অনেক সাধারন মানুষও রয়েছেন যারা লকডাউন অমান্য করতে সক্রিয় ছিল। এরকমই চিত্র ক্যামেরায় ধরা পড়ে দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন নদের ধারে। লকডাউন অমান্য করে দোকান খুলে রাখার অভিযোগে তাই কয়েকজন দোকানদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দামোদর ব্যারেজের আশেপাশের কয়েকটি দোকান দেখা যায় সকাল থেকেই খোলা। ব্যারেজ সংলগ্ন ছোট বাজারে যেমন বিকোচ্ছিল মাছ আবার তেমনই নদের ধারের দোকানগুলিতেও ক্রেতাদের দেখা গেল মুড়ি চপ কিনে খেতে। বিষয়টি যখন পুলিশের কানে পৌঁছোয় তখন বড়জোড়া থানার পুলিশ গিয়ে বন্ধ করে দেয় সমস্ত দোকানপাট।
এতো গেল বাঁকুড়ার চিত্র। তবে বাঁকুড়ার সাথে দুর্গাপুরের খুব একটা পার্থক্য কিছু ছিল না এই লকডাউনের দিনে। দুর্গাপুর পুলিশকেও সকাল থেকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায় লকডাউনের দিনে। দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও এরই মধ্যে কিছু জায়গায় আবার বিপরীত চিত্রো দেখতে পাওয়া যায়। লকডাউন অমান্য করার সাথে সাথে মাস্ক না পরে বাইরে বেরোনোর অপরাধে এদিন দুর্গাপুরের বিভিন্ন থানা এলাকায় বেশ কিছু মানুষজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে কিছুজনকে বুঝিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় আর কিছু ব্যাক্তিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় পুলিশের তরফে।
এদিনের লকডাউনে সারাদিনের শেষে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের চিত্রটা ছিল এরকম-
দুর্গাপুর থানায় গ্রেফতারের সংখ্যা- ১৪জন
নিউটাউনশিপ থানায় গ্রেফতারের সংখ্যা- ৭জন
কোকওভেন থানায় গ্রেফতারের সংখ্যা- ৮ জন
অন্ডাল থানায় গ্রেফতারের সংখ্যা-৪জন
পান্ডবেশ্বর থানায় গ্রেফতারের সংখ্যা- ৯ জন
ফরিদপুর(লাউদোহা) থানায় গ্রেফতারের সংখ্যা- ৭ জন
কাঁকসা থানায় গ্রেফতারের সংখ্যা- ১৮ জন
বুদবুদ থানায় গ্রেফতারের সংখ্যা- ২ জন