দুর্গাপুরে দুর্ঘটনায় মৃতের নাবালক পোষ্যকে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৯ ফেব্রুয়ারী:
দিন মজুর বিধবার নাবালক পোষ্য কে ক্ষতি পূরনের নির্দেশ দিলেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের ফাষ্ট ট্র্যাক বিচারক মহ রফিক আলম সাহেব।
ঘটনার প্রকাশ গত ইং ২/৪/২০১৭ একজন বিধবা দিন মজুর (ঠিকা শ্রমিক) কাইরি বামরা কে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। উক্ত ঘটনার পরিপেক্ষিতে দুর্গাপুর কোকওভেন থানায় অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯/৩০৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়।
পরবর্তী সময়ে উক্ত ঘাতক গাড়ির মালিক ও ইন্সুইরেন্স কোম্পানীর বিরুদ্ধে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা দায়ের করেন কাইরি বামরার নাবালক পোষ্যদের হয়ে মৃতার “মা” বড়কী মুন্ডা, কিন্তু কোভিড-১৯ সংক্রমণে বড়কী মুন্ডা মারা যায়।পুনরায় অনাথ হয়ে যায় আবেদন কারি পোষ্যরা। কিন্তু উক্ত কাইরি বামরা পিতা কে যুক্ত করে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আয়ুব আনসারী ক্ষতি পূরনের মামলা চালিয়ে নিয়ে যায়।
আজ উক্ত ক্ষতিপূরণ মামলায় ৭ বছর পর আদালত উক্ত পোষ্যদের ১৪,৬৬ ৭৫৫ টাকা ও ৬℅ হারে ২০১৭ সাল থেকে সুদ সমেত প্রায় ২০,৮০,০০০/-টাকা প্রদান করার আদেশ দেন ঘাতক গাড়ির ইন্সুইরেন্স কোম্পানী কে। যার মধ্যে ৮০% টাকা স্থায়ী আমানত হিসেবে রাষ্টীয় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে উক্ত পোষ্যদের নাম বরাবর রাখার নির্দেশ দিয়ে নজির গড়লেন আদালত।
আবেদন কারিদের পক্ষের আইনজীবী আয়ুব আনসারী জানান অনেক বড় অংকের ক্ষতিপূরণ মামলা করেছি তবে গরীব হত দরিদ্র মানুষের স্বার্থে কিছু করাটা একটা আলাদা অনুভূতি। এই মামলার আবেদন কারিগন খুবি অসহায়,অনাথ ও হতদরিদ্র, তাদের মামলা চালানোর নূন্যতম কাগজ পত্রাদি যোগাড় করার ক্ষমতা ছিল না।কিন্তু ধর্য্যধরে মামলা চালিয়ে আখেরে অনাথ শিশুদের কিছুটা আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।