কাঁকসায় যুবক খুনে ধৃত অভিযুক্ত, হত্যার নেপথ্যে মোবাইল ফোন?
আমার কথা, কাঁকসা, ৭ নভেম্বর:
গত ৩ তারিখে কাঁকসার নয়া কাঞ্চনপুর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল কাঁকসা থানার পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম রাজীব হাঁড়ি (রাহুল হাঁড়ি)। ধৃতকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় কাঁকসা থানায় এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা। তিনি জানিয়েছেন গত ৩ তারিখে কাঁকসার নয়া কাঞ্চনপুর এলাকায় ধান ক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মৃত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়ার পরই কাঁকসা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে মৃতদেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি একজোড়া চপ্পল পাওয়া যায়। মৃত ব্যক্তির নাম চন্দ্রশেখর মন্ডল(৫৪)। মৃত ব্যক্তি নয়া কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন ঘটনাটি দুই তারিখ রাত্রে ঘটে, আনুমানিক সাতটা থেকে আটটা নাগাদ। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য প্রমান হাতে পেয়ে রাজীব হাঁড়ি নামের যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত যুবককে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। দেহ ময়নাতন্ত্রের জন্য পাঠানো হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনো হাতে এসে পৌঁছায়নি। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে ধানের ক্ষেতে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি হওয়ার সাথে গলায় ধান গাছ পেঁচানো হয়েছিল।তবে এই বিষয়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। মৃত্যুর পেছনে কারণ সম্পর্কে জানা গিয়েছে, রাজীব হাঁড়ি নামের ধৃত ওই যুবক চন্দ্রশেখর মন্ডল এর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন কিনেছিল। পরে জানা যায় চন্দ্রশেখর মন্ডল ওই মোবাইল ফোনটি চুরি করেছিল। যার কারণে পরে সেই মোবাইল ফোনটি ফেরত দিতে হয়। সেই মোবাইল ফোনের টাকা পয়সার বিষয়ে রাজীব হাঁড়ি চন্দ্রশেখর কে ডেকে পাঠায়। তারপরেই তাকে হত্যা করা হয়। ঘটনার তদন্ত চলছে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।