জবরদখল রুখতে এডিডিএ চালু করলো হেল্প লাইন নাম্বার
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৪ জুন:
দুর্গাপুর ও আসানসোল শহরে জবরদখল রুখতে এবার শহরের নাগরিকদের সাথে নিয়ে চলার পদক্ষেপ নিতে চলেছে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ পর্ষদ। এডিদিএ এর কোনো জমিতে যদি কেউ দখল নেওয়ার চেষ্টা করে আর তা যদি শহরবাসীর নজরে আসে তাহলে তা সরাসরি এডিডিএ কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য চালু করা হচ্ছে দুটি হেল্পলাইন নাম্বার।
নাম্বার দুটি হল,
দুর্গাপুরের জন্য- ৯০৪৬২২৩৬৫০( 9046223650)
আসানসোলের জন্য- ৯০৪৬২২৩৬৫১(9046223651)
আগামীকাল অর্থাৎ ২৫ জুন মঙ্গলবার থেকে এই নাম্বার দুটি চালু হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে যে কোনো সময় এই নাম্বার দুটিতে ফোন করে শহরবাসী অভিযোগ জানাতে পারবেন।
দুর্গাপুর শহরে এই মুহূর্তে সব থেকে বড় সমস্যা জবরদখল। সে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা, ডিটিপিএস কারখানার জমিই হোক কিংবা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ পর্ষদের জমিই হোক। শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকারী জমি দখল করে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে উঠছে। ফলে একদিকে যেমন শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি ক্ষতি হচ্ছে রাজস্ব। এছাড়াও সাধারন নাগরিকের জীবনযাত্রাতেও বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এই দখলদাররা। দুর্গপুরের সিটিসেন্টার এলাকায় এই দখলদারি অনেক বেশি রকমের পরিলক্ষিত হয়। সিটিসেন্টার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শুরু করে জাংশন মল কিংবা ডিএমসি মোড় থেকে বিদিশা, এদিকে গান্ধী মোড় থেকে এবিএল, জাতীয় সড়কের ধারে, অথবা দুর্গাপুর সিনেমা হল থেকে কবিগুরু পর্যন্ত্য এলাকাগুলিতে রাস্তার ধারগুলি এমন ভাবে দখল করে অস্থায়ী দোকানপাট তৈরী করা হচ্ছে, যার দরুন এলাকাবাসীদের প্রায় সময়ই ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়।
আরো এক কদম এগিয়ে রয়েছে আসানসোল শহর। এই সহরে সুগম পার্ক থেকে বিপিএল কলোনি পর্যন্ত্য এই এলাকাগুলির জমি যা এডিডিএ এর আওতাধীন সেই সমস্ত জমি মাফিয়ারা বিক্রি করে দিয়েছে বলে সুত্র মারফত জানা গিয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু বস্তি তো রয়েছে যেগুলি এডিডিএ এর জমি দখল করে তার উপর গজিয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, এই শহরটা যেন অবর্জনার ডাম্পিং ইয়ার্ড হয়ে গেছে। যে যেখানে পারছে এসে বসে যাচ্ছে। সাথে আরো চারটে লোককে ডেকে এনে বসিয়ে নিচ্ছে। শহরে কম করে ৯-১০ লক্ষ মানুষের বসবাস। এতগুলো মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য কতটা ফাঁকা জায়গা দরকার। হাঁটা চলার জন্য কিংবা গাড়ি চালানোর জন্য কতটা জায়গার দরকার। সরকার রাস্তা বানাচ্ছে আর দখলদারেরা এসে সেই রাস্তার উপর বসে যাছে। আমরা অনেকেই সেগুলো সেখে পাশ কাটিয়ে চলে যাই, একটা প্রতিবাদও করি না। তাই এগুলো রুখতে সকলকে সচেতন হতে হবে। সাধারন মানুষকে সরকারের পাসে দাঁড়াতে হবে। তাই যদি কেউ জবরদখল করতে চাইছে দেখতেই তা এডিডিএকে ফোন মারফত জানাতে পারবে। নাম্বার দুটি হল, দুর্গাপুরের জন্য- ৯০৪৬২২৩৬৫০( 9046223650) ও আসানসোলের জন্য- ৯০৪৬২২৩৬৫১(9046223651)
১৯ জুন বুধবার এডিডিএ এর চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন দুর্গাপুরের উদ্যোগপতি কবি দত্ত। প্রথম দিনই তিনি সাফ জানিয়ে দেন জবরদখল কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এবার সেই লক্ষ্যেই আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি।