১২ ঘণ্টা আটকে থাকার পর মুক্তি মিলল ডিএভি মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ সহ অন্যান্যদের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৩০জুলাইঃ
করোনা সংক্রমন এড়াতে রাজ্য সেই মার্চ মাস থেকে শুরু হয় লকডাউন আর এই লকডাউনে দীর্ঘমাস ধরে বন্ধ স্কুল কলেজগুলি। তবে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া চলছে। তারই মাঝে দুর্গাপুরের বিভিন্ন ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলি অভিভাবকদের কাছ থেকে স্কুলের ডেভলপমেন্ট ফি’ সহ ল্যাবরটরি ফি’ কম্পিউটার ফি’ চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ যেখানে স্কুল বন্ধ থাকার কারনে এগুলোর কোনো ব্যবহারই এখন নেই। এমতবস্থায় অভিভাবকদের অভিযোগ যে লকডাউনের জেরে অনেকেই হয় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন আর নয়ত আর্থিকভাবে সংকটে পড়েছেন। ফলে স্কুলগুলির এই অতিরিক্ত খাতে যে ফি’ চাওয়া হচ্ছে তা যেন না চাওয়া হয়। কিন্তু নিজেদের অবস্থানে অনড় স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের এই আবেদনে সাড়া দিতে নারাজ। বেশ কিছুদিন যাবত দুর্গাপুরের বিভিন্ন এই সমস্ত বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিভাবকরা। দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহকুমা শাসকেরও। কিন্তু সেভাবে কোনো ফল না মেলায় এবার রীতিমতো সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পথে পা বাড়ালেন তাঁরা। আজ দুর্গাপুরের এরকম পাঁচটি স্কুলের সামনে সকাল থেকে হঠাৎই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। সব থেকে মারাত্মক আকার নেয় দুর্গাপুররের মেন হাসপাতালের বিপরীতে অবস্থিত একটি ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের। রাত পর্যন্ত্য স্কুলের সামনে ধর্ণা বসে থাকেন অভিভাবকরা। পরিস্থিত সামাল দিতে পোঁছয় পুলিশবাহিনী। পৌঁছোয় এসিপি(পূর্ব) স্বপন দত্ত, পৌঁছন ডেপুটি ম্যাজেস্ট্রেট। পুলিশের সাথে বচসাতেও জড়ান অভিভাবকরা বলে জানা গেছে। এরপর দফায় দফায় আলোচনা চলতে থাকে অভিভাবকমন্ডলী ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে। কিন্তু কিছুতেই মিলছিল না সমাধানের রাস্তা। এরপর স্কুলের তরফে আগামী ১৫ই আগষ্ট পর্যন্ত্য অভিভবকদের ফি’ জমা দেওয়ার দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সাথে এও বলা হয় যে দেরীতে ফি’ জমা দেওয়ার জন্য কোনো জরিমানানো ধার্য করা হবে না। এছাড়াও আগামী ৪ আগস্ট একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে টিউশন ফি’ বাদে আর কোনো কোনো খাতে অভিভাবকদের ফি’ দিতে হবে। দীর্ঘ বারো ঘণ্টা পর নিজেদের আন্দোলন তুলে নেন ওই স্কুলের অভিভাবকরা।