মনোরঞ্জনের পর পার্থ, এবার কার পালা? ঝড় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটে
আমার কথা, কাঁকসা, ২২ নভেম্বরঃ
ফের ঝড় উঠল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটে। বারাবনি থানার ওসি মনোরঞ্জন মন্ডলকে সাসপেন্ড করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফের আরো এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল। কাঁকসা থানার আইসি ইনস্পক্টর পার্থ ঘোষকে ‘কম্পালসারি ওয়েটিং’ এ পাঠানো হল। শুক্রবার এই নির্দেশ দেওয়া হয় নবান্ন থেকে।
বৃহস্পতিবার নবান্নে একটি বৈঠকে নীচু তলার পুলিশ কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। অবৈধ কয়লা, বালি পাচার নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। টাকার বিনিময়ে কয়লা ও বালি পাচারের মতো অবৈধ কারবারে সাহায্য করছে পুলিশের নিচুতলার একাংশ। এ ব্যাপারে পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি ও সিট, আন্টি করাপশন বিভাগকে ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজিব কুমারকে নির্দেশ দেওয়া হয় । মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে শুরু হয়ে যায় তৎপরতা । বৃহস্পতিবার রাতেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনস্থ বারাবনি থানার ওসি মনোরঞ্জন মন্ডলকে সাসপেন্ড করা হয় । অপেশাদার মানসিকতা ও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর । এরপর শুক্রবার কাঁকসার আইসি পার্থ ঘোষের বিরুদ্ধে ‘কম্পালসারি ওয়েটিং’ এর নির্দেশ আসে। অতিরিক্ত ডিজি এবং আইজিপি ও আইজিইর সই সম্বলিত একটি নির্দেশিকায় পার্থ ঘোষকে অবলম্বে কলকাতার ভবানী ভবনে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি চাউড় হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কাঁকসা এলাকায়।
প্রসঙ্গতঃ এদিন সকাল থেকেই বিশেষতঃ বারাবনি থানার ওসি মনোরঞ্জন মণ্ডলের সাসপেন্ড হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরার পর থেকে শিল্পাঞ্চলের বাতাসে কানাঘুষো চলতে থাকে যে বালি ও কয়লার অবৈধ কারবারে পরোক্ষে মদত দেওয়ার অভিযোগে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক ঝাঁক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। তার মধ্যে সম্ভবতঃ নাম রয়েছে কাঁকসার আইসি পার্থ ঘোষের। এরপর রাত হতেই ইনস্পেক্টর পার্থ ঘোষের বিষয়টিতে শিলমোহর পড়ে। যদিও নির্দেশিকায় কোথাও বালি বা কয়লা পাচারের অভিযোগ উল্লেখ নেই। উল্লেখ্যঃ কাঁকসা থানার আইসি হয়ে আসার আগে পার্থ ঘোষ অন্ডাল থানা ও জামুড়িয়া থানারও ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি যখন জামুড়িয়া থানার ওসি ছিলেন সেই সময় কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালার দৌলতে জামুড়িয়া ছিল অবৈধ কয়লা কারবারের মুক্তাঞ্চল। মনোরঞ্জন মন্ডল, পার্থ ঘোষ ছাড়াও এডিপিসির আরো কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। কিন্তু তাঁরা কারা সে নিয়ে এখন জোর জল্পনা চলছে পুলিশ মহলে।