মালদার ঘটনার জের,তৃণমূল নেতাকে দেওয়া হলো পুলিশি নিরাপত্তা
আমার কথা, আউশগ্রাম, ৯ জানুয়ারীঃ
মালদায় তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর বেশ কিছু তৃণমূল নেতাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হলো।আসানসোলের তৃণমূল নেতা তথা আসানসোল পৌরনিগমের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য অশোক রুদ্র, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি বিষ্ণুদেব নুনিয়া এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষ কে পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত;- দিন কয়েক আগে মালদায় এক তৃণমূল নেতা কে গুলি করে খুন করা হয়েছিল।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন ওই তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা থাকলেও কেন তুলে নেওয়া হয়,এই নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।এই ঘটনার পর আগে যে সমস্ত তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা ছিল তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।তার সাথে পানাগড়ের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা, আউশগ্রাম দু নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষ কেও পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয় বুদবুদ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে।রামকৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন,প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে তিনি খুশি।এই বিষয়ে কেন তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হলো সেই বিষয়ে তিনি বিশেষ কিছু জানাতে চান নি।তবে তিনি বলেন প্রশাসন যেটা ভালো বুজেছে সেটা করেছে।তাতে তার কোনো আপত্তি নেই।
সূত্রের খবর আউশগ্রাম দু নম্বর ব্লকের বর্তমান ব্লক সভাপতি শেখ আব্দুল লালনের সাথে তার দ্বন্ধের কারণে বেশ কয়েকবার ব্লকে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।ব্লক সভাপতির পদ থেকে তাকে সরানোর পর ব্লক জুড়ে বারবার সংঘর্ষের পর থেকে দলের কর্মসূচিতে তার তেমনভাবে উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছিল না।যদিও এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন যে কোনো রাজনৈতিক দলে কর্মীদের মধ্যে ভিন্ন মতাদর্শ থাকে যার কারণে মনোমালিন্য বাড়ে।অনেক কর্মী তাকে অপছন্দ করেন তার নামে অনেক মিথ্যা অভিযোগও তোলা হয়েছিল কিন্তু কেউ কোনো প্রমাণ দিতে পারে নি।তবে অনুব্রত মন্ডল জেল থেকে ফেরার পর থেকে রাজনৈতিক ভাবে ফের সক্রিয় হওয়ায় ও আউশগ্রামের দায়িত্বে থাকার কারণে অনুব্রত মন্ডলের অনুগামী হিসেবে রামকৃষ্ণ ঘোষের এই পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়ায় আগামী দিনে দলের হয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে তার অনেকটাই মনোবল বাড়লো বলে মনে করা হোচ্ছে।কারণ আউশগ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা জঙ্গল ঘেরা।যার কারণে রাতের অন্ধকারে দলীয় কর্মসূচি সেরে তাকে বাড়ি ফিরতে হতো।পুলিশি নিরাপত্তা থাকায় এবার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদান করাটা তার পক্ষে অনেকটাই সুবিধার হবে।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতার জন্য পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়াকে নিয়ে কটাক্ষ করেন বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মা।তিনি বলেন তৃণমূল দলের গোষ্ঠী দ্বন্ধ তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।রাজ্য জুড়ে যেভাবে তৃনমূল নেতারা একে অপরকে গুলি করে হত্যা করছে, তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।তার দাবি তৃণমূল দল আর বেশি দিন টিকে থাকবে না।বাংলার মানুষ এটা বুঝে গেছে এই তৃণমূল দল আর বাংলায় টিকে থাকবে না।