প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে খুলল স্কুল, পড়ুয়াদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থণা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ১৬ নভেম্বরঃ
মঙ্গলবার খুলল স্কুল । শুরু হলো পাঠান পাঠান । স্বাস্থ্য বিধি মানার ক্ষেত্রে দেখা গেল মিশ্র ছবি । মিষ্টিমুখ গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করা হলো পড়ুয়াদের ।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল মঙ্গলবার । সরকারি নির্দেশিকা কুড়ি মাস পর খুলল স্কুলের গেট । বাজলো ঘন্টা । আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস হবে । সকাল সাড়ে নয়টায় এদিন ক্লাস শুরু হয় নবম ও একাদশ শ্রেণির । দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হয় 11 টা থেকে । দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়া অভিভাবকেরাও । স্কুল চত্বর গুলিতে অনেকদিন পর দেখা গেল চেনা ছবি । পড়ুয়াদের কোলাহল, আড্ডা । তবে প্রথমদিন কমবেশি প্রতিটি স্কুলে উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম । কোন স্কুলে 30% আবার কোন স্কুলে 40% উপস্থিতি ছিল এদিন পড়ুয়াদের । স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে কয়েকদিন সময় লাগবে মত শিক্ষকদের । অন্ডালের উখড়া কে,বি ইনস্টিটিউশন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোমা দাসগুপ্ত জানান যে কোনো জিনিসই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে সময় লাগে । প্রথমদিনের উপস্থিতিতে আমরা মোটের উপর খুশি । একই কথা বলেন পুলিনবিহারী গোষ্ঠ বিহারী বালিকা বিদ্যামন্দির এর প্রধান শিক্ষিকা ঈশিতা দে । পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের বহুলা শশীস্মৃতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায় জানান এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম । ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের জন্য স্কুল খোলা জরুরি ছিল । শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রথম দিন স্কুলে এসে খুশি পড়ুয়ারাও । দশম শ্রেণীর ছাত্রী আরজুবি ভট্টাচার্য, একাদশ শ্রেণির শ্রাবণী কর্মকার-রা জানান স্কুল কে খুব মিস করছিলাম । দীর্ঘদিন পর বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে দেখা হল । তাই আজকের দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানান তারা । বহুলা শশীস্মৃতি স্কুলে এদিন গোলাপ ফুল ও মিষ্টি মুখ করিয়ে বরণ করা হয় পড়ুয়াদের । বরণ করেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা-রা । খনি অঞ্চলের অন্যান্য বেশ কয়েকটি স্কুলেও পড়ুয়াদের বরণ করা হয় স্কুলের পক্ষ থেকে । তবে প্রথমদিন স্বাস্থ্য বিধি মানার ক্ষেত্রে স্কুলগুলিতে দেখা গেল মিশ্র ছবি । বিভিন্ন স্কুলে মাস্ক ছাড়াই প্রথম দিন স্কুলে আসে বেশকিছু পড়ুয়া । ক্লাসরুমে দেখা যায় এক বেঞ্চে একাধিক পড়ুয়াকে বসে থাকতে । স্কুল চত্বরে পড়ুয়াদের জটলা চোখে পড়ে । যেখানে উপেক্ষা করা হয় সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধি । যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এদিন ক্লাস হয়েছে । সেনিটাইজার, মাস্ক -এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল স্কুলের পক্ষ থেকে । থার্মাল গানে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেই এদিন পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় বলে দাবি তাদের ।