আবার বিজেপির বিক্ষুব্ধ প্রার্থী, এবার দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৭এপ্রিলঃ
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সারা রাজ্যে যেখানে শাসক বিরোধী হিসেবে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চলছে জমি দখলের জোর লড়াই সেখানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের দুটি বিধানসভা কেন্দ্র অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিম এই দুটি কেন্দ্রে বিজেপি ও কংগ্রেসের অন্তর্কলহে জেরবার দুটি দলের কর্মী সমর্থকরা। সপ্তম দফায় এই জেলায় ভোট আর ২৬ এপ্রিল দিনটি যতই এগিয়ে আসছে ততই বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ বিজেপি থেকে কিংবা কংগ্রস থেকে গোঁজ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার হিড়িক লেগেছে।
এমনিতেই বিজেপির যেদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হয় সেদিন দুর্গাপুরের দুটি কেন্দ্রেই মনোনিত প্রার্থী নিয়ে বিজেপি কর্মীদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। চলতে থাকে প্রকাশ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভের পালা। সেই বিক্ষোভের পারদ ক্রমশ চড়তেই থাকছে যত নির্বাচনের দিনটি এগিয়ে আসছে। যেদিন দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ঠিক তার পরের দিনই অর্থাৎ গতকাল মঙ্গলবার লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বিরুদ্ধে ‘দুঃশ্চরিত্র” সহ নানা অভিযোগ এনে বিজেপির গোঁজ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন বিজেপি কর্মী তথা বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সদস্যা চন্দ্রমল্লিকা ব্যানার্জী। তবে এখানেই শেষ নয়। গতকালের পর আজ অর্থাৎ বুধবার দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী তথা তৃনমূলের দলত্যাগী কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী ও লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এনে পূর্ব কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা করলেন বিজেপি কর্মী তথা বিজেপির জেলার মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সম্পাদিকা শম্পা সেন। তাঁর অভিযোগ, দল আদি বিজেপি কর্মী সমর্থকদের গুরুত্ব না দিয়ে ‘দলবদলু’-দের গুরুত্ব বেশি দিয়ে তাদের প্রার্থী করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় প্রার্থী পুরোনোদের কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। গুরুত্ব দিচ্ছেন না জেলা সভাপতিও। তাই তাঁর এই পদক্ষেপ। তবে দুর্গাপুরের এই দুটি কেন্দ্রে যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক গোঁজ প্রার্থী দলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে তাতে পদ্মফুল শিবিরের ভোট ব্যাংকে তার প্রভাব কতটা পড়বে সেটাই এখন দেখার।