দুর্গাপুরে “উচ্ছেদ” নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত, পাল্লা দিয়ে চলছে রাজনৈতিক “বাগযুদ্ধ”
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৮ আগস্ট:
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার উচ্ছেদের নোটিশের প্রতিবাদে ও পুনর্বাসনের দাবিতে দুর্গাপুর পশ্চিমের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের নেতৃত্বে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসনিক ভবনের সামনে তুমুল বিক্ষোভ।
এই দিন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য ভি শিবদাসন দাশু, দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলী সদস্য রাখি তেওয়ারি ও ধর্মেন্দ্র যাদব, প্রাক্তন কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী, মানস রায়, রাজীব ঘোষ সহ অন্যান্যরা।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসন ভবন(টিএ বিল্ডিং) এর সামনে মঞ্চ বেঁধে উচ্ছেদের নোটিসের বিরুদ্ধে ও পুনর্বাসনের দাবিতে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় ইস্পাত কর্তৃপক্ষের আধিকারিক থেকে বিজেপির সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়াকে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন ছিল এসিপি তথাগত পাণ্ডের উপস্থিতিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স।
প্রসঙ্গ, গতকাল দুর্গাপুর বর্ধমান লোকসভার সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওলিয়া দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ২নং গেট কাছে একটি সমাবেশে এসে বলেন যে আমি সাংবাদিক সম্মেলন করে বললে কেউ বিশ্বাস করছে না, তাই আজ আমি আপনাদের দরজায় এসেছি বলতে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে আপনাদের কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না। যদি ডিএসপিকে উচ্ছেদ করতে হয় তাহলে পুনর্বাসন দিতে হবে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যার মাথার ওপর ছাদ নেই তাকে ছাদ দিতে হবে। তাই আগে ছাদ দিন তারপর উচ্ছেদ করবেন। তিনি আরও বলেন যে রাতই হোক বা দিনে কোনো যদি বুলডোজার আসে তাহলে আপনাদের এই প্রতিনিধিকে মনে করবেন।
তারপরে আজ সকালে নগর প্রশাসনের ভবনের সামনে বিক্ষোভে নামে তৃণমূল। শহরজুড়ে উচ্ছেদ নোটিশকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বাগযুদ্ধ চরমে ওঠে।
সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ যার নিজের দলে কোন গুরুত্ব নেই তিনি উচ্ছেদ নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছেন উচ্ছেদ নিয়ে যদি ওনার এতই মাথা ব্যথা হয় তাহলে পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকারের মধ্যস্থতা কেন দাবি করছেন না , যেটা আমরা দাবি করছি। এডিডিয়ের উচ্ছেদের ব্যাপারে বিশ্বনাথবাবু নিশ্চুপ কেন এই প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার।
যদিও সিপিআইএম ও বিজেপিকে কটাক্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের। এখন দেখার বিষয় রাজনীতির বেড়াজালেই কি আটকে থাকবে এই উচ্ছেদের নোটিশ পাওয়া সাধারণ মানুষগুলো? এর উত্তর একমাত্র সময়ই দিতে পারবে।