অকাল বোধন হল উখরার ভট্টাচার্য্য পরিবারের ক্ষ্যাপা দুর্গার
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(উখরা), ১২সেপ্টেম্বরঃ
দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে যখন আপামর বাঙালির মনে একটাই প্রশ্ন “এবার পুজোতে কী হবে” তখন সাজো সাজো রব উখড়ার ভট্টাচার্য পরিবারে। কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে কোনরকম আড়ম্বর ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো ক্ষ্যাপা দুর্গার অকাল বোধন। হিন্দু পুরাণ মতে, শরৎ কাল হল দেবলোকে শয়নের সময়। এ সময় সূর্যের দক্ষিণায়ন চলায় ঘুমিয়ে থাকেন দেবদেবীরা। তাই এসময় দেবীর পুজো করতে হলে দেবীর অকাল “বোধন” অর্থে জাগরণ বাঞ্ছনীয়। দেবী দুর্গার আশীর্বাদ প্রার্থী শ্রীরামচন্দ্রও রাবনবধের উদ্দেশ্যে এই সময়েই করেছিলেন দেবীর আরাধনা। এই পুজো শুরু করেন পরিবারের আদি পুরুষ গঙ্গানারায়ন ভট্টাচার্য্য। ভট্টাচার্য পরিবারের মতে, কৃষ্ণপক্ষের এই বিশেষ তিথি থেকেই শুরু হয় মায়ের অন্নের ভোগ ,সন্ধারতি,শীতল। শেষ হয় একেবারে বিজয়া দশমীর দিনে। পরিবারের প্রত্যেকেই ভীষণ নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে থাকেন। কৃষ্ণা নবমীর দিন থেকে নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হয় একবেলা অন্ন গ্রহণ করতে হয় এবং বাইরের কোনো খাবার গ্রহণ করা চলে না। প্রত্যেক দিন চণ্ডীপাঠ হয়। এবার অবশ্য আশ্বিন মাস মল মাস হিসাবে গণ্য হওয়ায় বোধন থাকবে প্রায় পয়তাল্লিশ দিন মতো। “ছোটোবেলা থেকেই দেখেছি, এই বোধন আসার পর থেকেই পুজো পুজো গন্ধটা প্রকট হতে শুরু করে।শুরু হয় প্রাক পুজো প্রস্তুতি।”- বলছিলেন পরিবারের বর্তমান কর্তা গণেশ ভট্টাচার্য।
ধন্যবাদান্তেঃ শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য্য