মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ অথচ বরাদ্দ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ
আমার কথা, পান্ডবেশ্বর, ২৬ আগস্ট:
এইসিডিএস সেন্টারের রান্না হয় না। নষ্ট হচ্ছে মাটিতে পড়ে থাকা চাল। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে গিয়ে হতবাক বিধায়ক, যুগ্ম বিডিও। অভিযুক্ত দিদিমনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন বিডিও।
পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের জামাই পাড়া, ডোমপাড়ার ১৪৪ নম্বর আইসিডিএস সেন্টারে পড়াশোনার জন্য পড়ুয়ারা এলেও তারা পায় না মিড ডে মিলের খাবার। অভিভাবকদের অভিযোগ গত সাত মাস ধরে সেন্টারে রান্না হয় না মিড ডে মিল। বিষয়টি জানিয়ে সম্প্রতি অভিভাবকেরা মাস পিটিশন জমা দেন বিডিও এবং স্থানীয় বিধায়কের কাছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে শনিবার সকালে আইসিডিএস সেন্টারে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের যুগ্ম বিডিও সন্দীপ মজুমদার। সেন্টারটির বেহাল দশা দেখে হতবাক তারা। সেন্টারের ভিতরটি অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন সেখানেই পড়াশোনা করতে বাধ্য হয় পড়ুয়ারা। মাটিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে, মিড ডে মিলের চাল। অভিভাবকেরা বিধায়ক ও যুগ্ম বিডিওকে জানান এই সেন্টারের সাত মাস ধরে মিড ডে মিলের রান্না হয় না। অথচ সরকারি খাতা থেকে তুলে নেওয়া হয় মিড-ডে মিলের চাল, সবজি, রেশন সহ জ্বালানির বরাদ্দ টাকা।
সেন্টারটির দায়িত্বে থাকা দিদিমণি নিয়তি রুইদাস অভিযোগ অস্বীকার করে জানান মাসখানেক আগেও সেন্টারে মিড ডে মিলে রান্না হতো। এখন অব্যবস্থার কারণে রান্না করা সম্ভব হয় না। বরাদ্দের টাকা কি হয়, সে বিষয়ে তিনি নীরব থাকেন। বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়েই এদিন তদন্তে এসেছি। অভিযোগ সত্যি বলে প্রমাণ মিলেছে। এটা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। পাণ্ডবেশ্বরের বিডিও মহেশ্বেতা বিশ্বাস বলেন জয়েন্ট বিডিও তদন্তে গিয়েছিলেন। তার দেওয়ার রিপোর্ট জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।