ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে, পড়ুয়ার বিরুদ্ধেও উঠছে নানা অভিযোগ
আমার কথা, পানাগড়, ৩ সেপ্টেম্বরঃ
এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পানাগড় বাজার হিন্দি হাইস্কুলে। মঙ্গলবার কাঁকসার বিডিও, কাঁকসা থানা ও কাঁকসার এসিপির কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় ওই ছাত্রের পরিবার। ওই ছাত্রের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সোমবার বিদ্যালয়ে কোন কারণ ছাড়াই নবম শ্রেণীর ছাত্র রোশন সিং কে মারধর করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কি কারণে তাকে মারধর করেছে সেই কারণ জানতে গেলে প্রধান শিক্ষক কোনোরকম সদুত্তর দেননি বলেই অভিযোগ করেছেন ছাত্রের পরিবার। তাদের অভিযোগ বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক উল্টে তাদের হুমকি দিয়েছে যাতে ওই ছাত্র বিদ্যালয়ে না আসে এবং শুধুমাত্র পরীক্ষার সময় এসে বিদ্যালয়ের পরীক্ষা দেবে। এমনই কথা প্রধান শিক্ষক তাদের জানিয়েছেন বলে অভিযোগ।ওই প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।
যদিও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত কুমার পান্ডা জানিয়েছেন,যে ছাত্র তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে যে তাকে নাকি মারধর করা হয়েছে। সেই ছাত্রকে আগেও সাসপেন্ড করা হয়েছিল তার নানান অন্যায় কাজের জন্য।সেই সময় পরিবারের পক্ষ থেকে হাতে-পায়ে ধরার পর তাকে পুনরায় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। গত কয়েকদিন যাবত বাইরে থেকে ওই ছাত্র বিভিন্ন দুষ্কৃতিদের নিয়ে এসে বিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে বিদ্যালয় পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যেহেতু ওই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী একসাথে পড়াশোনা করে এবং বর্তমানে আরজিকর কান্ড ঘটার পর তারাও বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ওপর বিশেষভাবে নজর রেখেছেন যাতে তাদের সাথে কেউ কোনো রকম খারাপ আচরণ না করতে পারে। কিন্তু এই ছাত্রের আর পড়াশোনার প্রতি মন নেই সে ক্রমশ একজন দুষ্কৃতিদের মতো আচরণ শুরু করে দিয়েছে এবং তার মানসিকতাও পরিবর্তন হয়েছে। যার কারণে তার ভবিষ্যতে আর পড়াশোনা করার কোন সম্ভাবনা তারা দেখছেন না। বেশ কিছুদিন ধরে সে ছাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং তাদেরকে উত্যক্ত করার মতো ঘটনা ঘটিয়ে চলছিল বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে।
এরপরই তাকে সোমবার হাতেনাতে ধরে অভিভাবকদের ডাকা হয়। তার অভিযোগ বর্তমান সমাজ যা তৈরি হয়েছে তাতে আর ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যায় দেখলে কিছুই বলা যাবে না। কারণ তারা ছোট একটা সমস্যা সৃষ্টি হলেও সেটা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরছে এবং স্কুলের বদনাম করার মানসিকতা তৈরি হয়েছে তাদের। এই প্রবণতাকে রুখতে হবে।