মৃতদেহ অদল বদলের অভিযোগ দুর্গাপুরের বেসরকারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৪মার্চঃ
মৃতদেহ আদল বদলের মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের শোভাপুরের একটি বেসরকারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে, যদিও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে।ঘটনায় হাসপাতালে ক্কখোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা।
জানা গিয়েছে, ধানবাদের নিরসার বাসিন্দা চম্পাই মাজি(৫০) অসুস্থতার কারনে দুর্গাপুরের ওই বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বুধবার বেলার দিকে তার মৃত্যু হুলে মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। খবর দেওয়া হয় চম্পাইবাবুর পরিবারকে।
অন্যদিকে সরস্বতী পুজোর আগে ব্রেনের সমস্যার কারনে ওই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন দুর্গাপুরের ইছাপুরের বাসিন্দা পরেশ সামন্ত(৭৮)। এদিন পরেশবাবুরও মৃত্যু হয় হাসপাতালেই।
যত গন্ডগোল শুরু এই পরেই। পরেশবাবু ও চম্পাইবাবুর পরিবারের হাতে হাসপাতালের পক্ষ থেকে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়। পরেশ সামন্তর পরিবার মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যান ত্রিবেণীতে। সেখানে মৃতদেহ সতকার করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন পরেশবাবুর জায়গায় অন্য কারুর মৃতদেহ। ওদিকে পরেশবাবুর মৃতদেহ ততক্ষণে পৌঁছে গেছে ধানবাদে চম্পাইবাবুর পরিবারের সাথে। এরপরেই বাধে বিপত্তি। ঝাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার দরুন এই কাজ যে হয়েছে তা বুঝতে পারেন দুই পরিবার।
এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হাসপাতালের তরফে দুই পরিবারকে নিয়ে তড়িঘড়ি বিষয়টি মেটাতে আলোচনায় বসে। কিন্তু ততক্ষনে বিষয়টি নাগালের বাইরে বেরিয়ে যায়। ধুন্ধুমাত কান্ড বেধে যায় হাসপাতালের মধ্যে। তখন হাসপাতালের তরফে সমস্ত দায় দুই পরিবারের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও দুই পরিবারের তরফে দাবি করা হয় যে মৃতদেহ তাদের হাতে তুলে দিলেও মৃতদেহ কাপড়ে মুড়ে এমনভাবে দেওয়া হয়েছিল যে তাঁরা মৃতদেহের মুখ দেখতে পায়নি।
তবে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছরায় হাসপাতালে সাথে ওই বেসরকারী হাসপাতালের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।