অনলাইনে প্রতারনার অভিযোগ, দুর্গাপুরে সাইবার ক্রাইম শাখার জালে তিন অভিযুক্ত
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৪ডিসেম্বরঃ
স্মার্ট ফোনের যুগে দিন দিন বাড়ছে অনলাইনে প্রতারনা, আর এরকমই এক অনলাইন প্রতারনা চক্রের হদিশ পেল দুর্গাপুরের পুলিশ। প্রতারনার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সাইবার ক্রাইম শাখা। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের বি-জোনের বাসিন্দা বাবলু পাসোয়ান নামে এক ব্যাক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা লুট হয়ে যায়। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পড়ে সাইবার ক্রাইম শাখার উপর। এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে এইচসিএল কলোনীর বাসিন্দা বিনোদ পাত্রকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে ব্যাংক সহ এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। বিনোদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত্য দুটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক থেকে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশী জেরায় সে স্বীকার করেছে। যদিও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে আরো অনেক বেশী টাকা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে বিনোদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি পুলিশ সুত্রে এও জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে দুর্গাপুরে দুজন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রকে সাইবার ক্রাইম শাখার আধিকারিকরা গ্রেফতার করে এই অনলাইন প্রতারনার অভিযোগে। তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে অন্ডাল থেকে আরো দুজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম শাখার আধিকারিকরা। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে এরকম অপরাধের সাথে যুক্ত প্রায় পঞ্চাশ জনের সন্ধান চালানো হচ্ছে। এই অপরাধ চক্র দুর্গাপুর থেকে আসানসোল পর্যন্ত্য ছড়িয়ে রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মী সহ পড়ুয়ারা এই চক্রে জড়িত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এদের মধ্যে কলার পার্টি রয়েছে অর্থাৎ গ্রাহকদের ফোন করে কথার জালে ফাঁসিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ড নম্বর নেওয়ার চক্রে রয়েছে প্রায় ৫০ জনেরও বেশী। অন্যদিকে ভুয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে ব্যাংকের অনেক কর্মী জড়িত রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে বিরাট একটা চক্র রয়েছে এই সাইবার ক্রাইম এর ঘটনায় এমনটাই পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে । এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ও দুটো এটিএম পুলিশ উদ্ধার করেছে।