গল্প হলেও সত্যি, মৃত ভেবে চিতায় চাপানোর পর জেগে উঠলেন বৃদ্ধা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ২৭মেঃ
মৃত ভেবে দাহ করার জন্য বৃদ্ধাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শ্মশানে। চাপানো হয়েছিল চিতায়। মুখাগ্নি করার মুহূর্তে হঠাৎ নড়েচড়ে ওঠে বৃদ্ধার দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তড়িঘড়ি চিতা থেকে নামিয়ে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে ভর্তি করে দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতালে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পাণ্ডবেশ্বরের বৈদ্যনাথপুর পঞ্চায়েতের নামু পাড়ার বাসিন্দা পুষ্পরানি আচার্য (৭৮)। মাস আটেক আগে পড়ে গিয়ে পা ভাঙ্গে তাঁর। তার পর থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই ছিলেন বৃদ্ধা। আগে মারা গিয়েছে স্বামী। দুই সন্তান ও দুই বৌমা নিয়ে বৃদ্ধার পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎই বৃদ্ধার সাড়া শব্দ না পেয়ে ছেলেরা খবর দেয় পাড়া-প্রতিবেশীদের। এলাকাটি করোনার কারনে কোয়ারেন্টাইন জোন হাওয়ায় খবর দেওয়া হলেও আসেনি কোন ডাক্তার। বহু ডাকাডাকির পরও বৃদ্ধার কোন সাড়া না পাওয়ায়, তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা হয় তাঁর ছেলে ও প্রতিবেশীদের। এরপর সন্ধ্যায় দাহ করার জন্য দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সাজানো হয় চিতা। দাহের ধার্মিক নিয়ম-নীতি মেনে বৃদ্ধা-কে তোলা হয় চিতাতে। কিন্তু এরপরই ঘটে আশ্চর্য ঘটনা। মুখাগ্নি করার প্রস্তুতি নিতেই হঠাৎ চিতার উপর নড়া চড়া করে ওঠে বৃদ্ধার শরীর, যা দেখে শ্মশান যাত্রীদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনার প্রাথমিক আকস্মিকতা কাটার পর খবর দেওয়া হয় পাণ্ডবেশ্বর থানায়। পুলিশ এসে চিতা থেকে নামিয়ে চিকিৎসার জন্য বৃদ্ধা-কে নিয়ে যায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই পুষ্পরানি দেবীর চিকিৎসা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এদিকে ঘটনা ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
শ্মশান যাত্রী ফটিক দাস জানান, এরকম ঘটনার সাক্ষী থাকবো জীবনে ও ভাবিনি। ছোটবেলায় শুনেছি গল্পেও পড়েছি শ্মশানে মৃতদেহ জীবন্ত হয়ে ওঠার কথা। তবে সেগুলি ছিল সবই কাল্পনিক গল্প। আজ যা দেখলাম তা নিজের চোখকেই বিশ্বাষ করতে পারছি না। এদিকে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই কেন বৃদ্ধাকে দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ঘটনায় ছেলেদের ভূমিকায় বা কি ? গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।