মাধ্যমিকে তৃতীয় ও ষষ্ঠ স্থানাধিকারী আসানসোলের অনন্যা ও সৈকত
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(আসানসোল), ৩জুনঃ
মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হল। এবারেও শহরকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে রইল জেলার স্কুলগুলি। এই বছরে মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬.৬ শতাংশ। প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কালিম্পং। এদিকে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের উমারানী গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী অনন্যা দাশগুপ্ত। অনন্যা মেয়েদের মধ্যে আবার প্রথম স্থানাধিকারী। রানীগঞ্জের গীর্জাপাড়া কে ডি সরণীর বাসিন্দা অনন্যার প্রাপ্ত নাম্বার ৬৯১, যার মধ্যে বাংলায় পেয়েছে ৯৯, ইংলিশে ৯৬, অংকে ১০০তে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯৮ আর ভূগোলে ১০০। অনন্যা মাত্র দুজন গৃহসিক্ষকের কাছে পড়াশুনা করতো। বাকি বাবা ও মায়ের কাছেই সে নিজের পড়াশুনায় সাহায্য পেয়ছে বলে জানিয়েছে। সাথে স্কুলের শিক্ষকদের সহয়তা তো ছিলই। ভবিষ্যতে অনন্যা ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। অনন্যার বাবাও একজন শিক্ষক আর মা গৃহবধূ।
অন্যদিকে আসানসোল থেকে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে সৈকত কুমার গাঙ্গুলী। আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র সৈকতের প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৮। আসানসোলের সুগম পার্কের বাসিন্দা সারাদি্নে ৭ঘন্টা পড়াশুনা করতো। যদিও ভবিষ্যতে একজন চিকিৎসক হয়ে সাধারন মানুষের সেবা করাই এখন সৈকতের বড় স্বপ্ন। আর তার এই স্বপ্ন পূরণের সব থেকে বড় সঙ্গী তথা সহায়ক সৈকতের বাবা যিনি পেশায় রেলের ইঞ্জিনিয়ার।