কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল আবারও এক বাংলার ভূমিপুত্রের
আমার কথা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭জুনঃ
সন্ত্রাসবাদ হামলায় একের পর এক শহীদ হচ্ছেন বাংলার বীর সন্তানেরা। লাদাখে চিনা হামলায় বাংলার দুই জওয়ানের পর গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার কাশ্মীরের অনন্তনাগে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় শহীদ হলেন বাংলারই আর এক ভূমিপুত্র তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের বাসিন্দা সি আর পি এফ জওয়ান শ্যামল দে।
জানা গিয়েছে শুক্রবার দুপুরে কাশ্মীরের অনন্তনাগের বিজেহহেরায় প্রতিদিনকার মতো টহল দিচ্ছিলেন সি আর পি এফ জওয়ানরা। সেই সময় আচমকাই বাইকে করে ওই জওয়ানদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় কয়েকজন সন্ত্রাবয়াদী। পাল্টা আক্রম্ন করেন জওয়ানরা। তাতে পিছু হটে পালানোর চেষ্টা করে ওই জঙ্গীরা। কিন্তু পালানোর সময় জঙ্গিদের ছোঁড়া গুলিত লেগে যায় শ্যমাওলের গায়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। শ্যামলের মৃত্যুর খবর পৌঁছয় তার গ্রামের বাড়িতে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শকে পাথর হয়ে পড়েন শ্যামলের মা। অসুস্থও হয়ে পড়েন তিনি। একই অবস্থা তার বাবারও। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। জানা গেছে, তাদের সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন শ্যামল।
বাবা বাদল দে জানান যে, গত ডিসেমবরে শেষবারের মতো বাড়ি এসেছিলেন শ্যামল। বাড়ি তৈরীর কাজ চলছিল সেই সময়। কথা ছিল বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ হলে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা হবে। কিন্তু সব কিছু শেষ হয়ে গেল।
২০১৫ সালে সি আর পি এফে যোগ দেন শ্যামল দে।জঙ্গি হামলায় মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল দে পরিবারের।
এদিকে শ্যামলের মৃত্যুর খবর পেয়ে এদিন বিকেলেই শ্যামলের বাড়ি যান রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইঞা ও তাঁর স্ত্রী বিধায়ক গীতা ভুঁইঞা। মানসবাবু বলেন শ্যামলের জন্য আমরা গর্ব অনুভব করি। কিন্তু আমরা কেন্দ্র সরকারকে এও জিজ্ঞেস করছি যে আর কত মায়ের কোল খালি হবে?
পাশাপাশি এদিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(খড়গপুর) কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ জানান যে, সেনাবাহিনীর তরফে জানা গিয়েছে শনিবার অর্থাৎ আজ জওয়ানের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।রাষ্টড়ীয় মর্যাদায় ওই বীর সেনানির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে, তারই প্রস্তুতি চলছে।