কাঁকসার তেপান্তরের নাট্যশিল্পীদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রূপে গড়ে তুলতে সরকারি সাহায্যের আবেদন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(কাঁকসা), ১৮জানুয়ারীঃ
সনাতন গড়াইঃ কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে তেপান্তর। মূলত তেপান্তরে সারা বছর ধরেই ডোমনি গান, নাটক, নাচ,গান থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের হস্তশিল্প শেখানোর কাজ চলে এই তেপান্তরের নাট্যশালায়। ১৯৯৪ সালে কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৩০ জন মিলে একটি নাট্যদল গড়ে তোলে। এই নাট্য দলের নেতৃত্ব দেয় কল্লোল ভট্টাচার্য। একটু একটু করে পথ চলা শুরু। নাট্য জগৎকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ১৯৯৯ সালে সাতকাহানিয়া এলাকায় এই নাট্যশিল্পীরা তৈরি করে নাট্যমঞ্চ। তারপর সেই নাট্যমঞ্চে নাটক, নাচ, গান এবং বিভিন্ন হস্তশিল্পের কাজ শেখানোর শুরু হয়।তখন অবিভক্ত বর্ধমান, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসতে থাকে এই নাট্যশালায়। পাশাপাশি সাতকাহানিয়া এলাকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের অন্য জায়গা তৈরি হয় এই নাট্যশালায়। ধীরে ধীরে আরও এগিয়ে যেতে থাকে তেপান্তরে থিয়েটারের চর্চা। বর্তমানে সাতকাহানিয়া গ্রাম তেপান্তর গ্রাম নামেও পরিচিত। সারা বছর ধরেই বিভিন্ন উৎসব হয়ে থাকে। গড়ে উঠেছে একাধিক নাট্যমঞ্চও। দেশ-বিদেশের পর্যটকের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে এই নাট্য গ্রামে। নাট্যশালায় আসা পর্যটকদের আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বর্তমানে এ নাট্য খামারে মুরগির ফার্ম, মাছ চাষের জন্য পুকুর, শাকসবজির জন্য বাগান তৈরি হয়েছে।
তেপান্তরের নাট্য খামারের পরিচালক কল্লোল ভট্টাচার্য জানান সরকারি সাহায্য তেমনভাবে আসেনি। তেপান্তরকে পরিপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তুলতে সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন আছে। এছাড়া স্বনির্ভরতার মাধম্যে নাট্য খামারকে চালিয়ে যেতে চাইছেন বলে জানান কল্লোলবাবু। তেপান্তরের পাশে রয়েছে অজয়ের বালিঘাট, সেই রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত বালি বোঝাই ট্রাক যাতায়াতের ফলে প্রতিনিয়ত খারাপ হচ্ছে রাস্তা। রাস্তা সংস্কারের আবেদন রেখেছেন নাট্য খামারের পরিচালক কল্লোল ভট্টাচার্য।
নাট্য খামারের দিকে নজরদারি দেওয়া হবে এবং অভাব থাকলে সেগুলো মেটানো হবে বলে জানান কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিখিল ডোম।