ভোট মিটতেই সারা রাজ্যের সাথে দুর্গাপুরেও আংশিক লকডাউন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৩০ এপ্রিলঃ
ভোট মিটতেই চালু আংশিক লকডাউন। দেশের সাধারণ মানুষকে ভোট উতসবে মাতিয়ে, স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যখন মারাত্মক আকার নিয়ে চলেছে, প্রতিদিন গড়ছে নতুন রেকর্ড তখন টনক নড়লো সরকারের, চালু হলো আংশিক
লকডাউন। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত, আবার বিকাল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার, খোলা থাকবে শুধু ঔষধ ও মুদি দোকান, সমস্ত শপিং মল, সিনেমা হল, সুইমিং পুল,, জিম, বন্ধ জমায়েত, বিজয় মিছিল
কানাঘুষো চলছিলই এবার ভোটপর্ব মিটতে সেটাই বাস্তবে রূপ নিলো। যে ভাবে রাজ্যে করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে রাজ্যবাসী তা থেকেই সকলের মধ্যে এই আলোচনাই চলছিল যে ভোটের পরেই হয়ত রাজ্যে লকডাউন ঘোষনা করা হবে। ঠিক তাই, গতকাল ২৯ এপ্রিল রাজ্যের অষ্টম তথা শেষ দফার ভোট হতেই আজ রাজ্যে জুড়ে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হল।
এই লকডাউনের আওয়াত বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, শপিং কমপ্লেক্স, বিউটি পার্লার থেকে শুরু করে জিম, রেস্তোরা। এমনকি এক জায়গায় জমায়েতের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বাজারের ক্ষেত্রে সময় নির্ধারিত করা হয়েছে সকাল ৭-১০ আর বিকেল ৩-৫টা। তবে অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে ওষুধ ও মুদিখানাকে লকডাউনের আওয়ার বাইরে রাখা হয়েছে।
সারা রাজ্যের সাথে সাথে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরকেও এই আংশিক লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই করোনার প্রকোপ আটকাতে দুর্গাপুর বনিকসভার পক্ষ থেকে ১-৩ মে পর্যন্ত্য আংশিক নয় দুর্গাপুরের সমস্ত বাজার সম্পূর্ণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই বন্ধের আওতার বাইরে সব্জি বাজার, ওষুধ, দুধের মতো অত্যাবশকীয় পণ্যের দোকানগুলিকে রাখা হয়েছে।
তবে এত সবের পরেও করোনার প্রকোপ আটকাতে দরকার সচেতনতা। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ির বাইরে বেরোতে মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে। একে অপরের সাথে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।