পাঠশালা আয়োজিত আসানসোল নৃত্য ও কবিতা উৎসব
আমার কথা, আসানসোল, ১৫ জুন:
পাঠশালা পরিবারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো “তৃতীয় আসানসোল নৃত্য উৎসব”। উৎসব কে ঘিরে শহরের মানুষের উৎসাহ ছিলো চোখে পড়ার মতো। আসানসোল রবীন্দ্রভবনে তিল ধারণের জায়গা ছিলো না। কলকাতা, চন্দননগর, দুর্গাপুর, রাণীগঞ্জ এবং আসানসোল শহরের শিল্পীরা উপস্থাপন করেন বিভিন্ন ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঘরানার নৃত্য। নৃত্য প্রশিক্ষিকা সঞ্চারী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ভরতনাট্যম আঙ্গিকে উপস্থাপিত ” দশাবতার ” এবং অতিথি শিল্পীদের নৃত্য উপস্থাপনা দর্শক সাধারণের কাছে উচ্চ প্রশংসিত হয়। উদ্ধোধনে ছিলো অভিনবত্ব, শহরের সব নৃত্য শিল্পীরা সম্মিলিত ভাবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উৎসবের সূচনা করেন।
পাঠশালার পক্ষ থেকে জীবন কৃতি সম্মাননা তুলে দেওয়া হয় কবি ও গীতিকার মুক্তি রায়চৌধুরীর হাতে। যার লেখা ১২ টি গান গেয়েছেন শিল্পী মান্না দে। বাড়ি ফেরার মুখে সকলের আবদার আরো বড়ো করে হোক এই উৎসব।
দ্বিতীয় দিন ছিল পাটশালা পরিবার আয়োজিত আসানসোল কবিতা উৎসব। পাঠশালা পরিবারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো সপ্তম আসানসোল কবিতা উৎসব। কবিতা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল কাফি, আবৃত্তিকার স্বপ্না দে, শ্রবণা শীল, কবি পিনাকী রায় সহ বাংলার সংস্কৃতি জগতের পরিচিত জনেরা। নৃত্য উৎসবের পর কবিতা উৎসবের দিনও পূর্ণ ছিলো আসানসোল রবীন্দ্রভবন প্রেক্ষাগৃহ। আদিবাসী তরুণী টিনা কিসকুর রবীন্দ্র কবিতা আবৃত্তি। অধ্যাপক আব্দুল কাফির কবিতা বিষয়ক বক্তব্য দর্শকদের মন জয় করে। আবৃত্তিকার সুদীপ্ত রায়ের পরিচালনায় পাঠশালার কবিতা কোলাজ “দেশ” এবং আসানসোল আবৃত্তি চর্চা দলের সমবেত আবৃত্তি উচ্চ প্রশংসিত হয়।