আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের অভিনব উদ্যোগ, দুর্গাপুরে বয়স্কদের ভার্চুয়াল সিস্টেমে ঠাকুর দেখাবে পুলিশ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৭অক্টোবরঃ
ব্যাতিক্রমী এই বছরে করোনার কারনে বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চিত ছিল সার্বজনীন দুর্গাপুজা কমিটিগুলি। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই রাজ্য সরকার পুজোর অনুমতি দেন, তবে সাথে এও নির্দেশ দেন যেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো হয়। অর্থাৎ পুজো করতে গিয়ে যেন সংক্রমণ বেড়ে না যায়। তাই পুজোর আগেভাগেই সরকারের এই নির্দেশ পুলিশের তরফে পুজো কমিটির সদস্যদের ভাল করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুঝিয়ে দিলেও সেগুলি কি তাঁরা আদৌ মানছেন? তা পরখ করে দেখতে আজ শনিবার শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে খোদ বড় বড় পুজোগুলি ঘুরে দেখে গেলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন।
আসানসোল ও দুর্গাপুরের দুটি মহকুমা মিলিয়ে মোট ১১২২টি পুজো হচ্ছে। প্রত্যেকটি পুজোতেই পুলিশের পক্ষ থেকে নজর রাখা হয়েছে। সমস্ত পুজো উদ্যোক্তারা সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনেই এবার পুজো করছেন। যেমনভাবে মণ্ডপ তৈরি করতে বলা হয়েছে উদ্যোক্তারা সেই গাইডলাইন মেনেছেন। প্রশাসন আশাবাদী যে, পুজোর কয়েকটা দিন কোভিড সংক্রমণ রুখতে তারা সফল হবে। জেলাশাসকের পক্ষ থেকে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে চার লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে।
পরিক্রমা শেষে কমিশনার সুকেশ জৈন জানান, “বেশির ভাগ পুজো কমিটি গাইডলাইন মেনেই পুজো করছেন, আর যে দু একটা পুজোর ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা দেখা গেছে তাদের আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি বিষয়টা, তাঁরা সেটা ঠিক করে নেবেন বলে জানিয়েছেন।” এছাড়াও কমিশনার আরো জানান যে, “এ বছর বয়স্ক মানুষজন যারা ঠাকুর দেখতে বেরোতে পারছেন না তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ বনিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। ভার্চুয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” সব শেষে কমিশনার সকলের উদ্দেশ্যেও আবারও আবেদন করেন যে, দর্শণার্থী যারা ঠাকুর দেখতে বের হবেন তাঁরা যেন অবশ্যই মাস্ক পরে বের হন আর সাথে অবশ্যই সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলেন।