হরিপুরে জিতেনের পথ আটকালো পুলিশ, ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেতা
আমার কথা, পান্ডবেশ্বর, ১৩ মেঃ
জিতেন্দ্র তিওয়ারির গাড়ি আটকালো পুলিশ, আর তাতে ক্ষোভ উগরে দিলেন পান্ডবেশ্বর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ঘটনাক্রমে ফিরে যেতে বাধ্য হন জিতেন্দ্রবাবু।
চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ শুরু হতেই বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করে পান্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বেশ কিছু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না তৃণমুল কংগ্রেসের কর্মীরা। খবর পেয়ে সেই সব এলাকা পরিদর্শণে যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। হরিপুরে ছোঁড়া সিনেমা হল মোড়ে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ বলে অভিযোগ।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “আমাদের এজেন্টদের বুথে বসতে দিচ্ছে না তৃণমুল। পুলিস সে সব দিকে নজর দিচ্ছে না। আমি জানতে পেরে আমি সেই সব জায়গায় যেতে গেলে পুলিশ আমাকে আটকে দেয়। আমার কাছে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি রয়েছে।
অপরদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, জিতেন্দ্র তিওয়ারী পান্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা নন। তিনি নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে এলাকায় প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন, তাই তাঁকে আটকানো হয়েছে।
প্রায় ঘন্টা দুয়েক ধরে আটকে থাকেন তিনি। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ ধীবর। ম্যাজিস্ট্রেটের সাথেও বচসায় জড়ালেন তিনি। আইনি জটিলতা নিয়ে চলতে থাকে দুপক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা। প্রায় দু ঘন্টা পনেরো মিনিট পর ফিরে গেলেন জিতেনবাবু। যাওয়ার সময় তিনি পুলিস্কে দোষারপ করে বলেন, “পান্ডবেশ্বরে ভোট লুট করছে তৃণমুল আর তাতে মদত দিচ্ছে পুলিশ। আমি সেখানে গেলে তৃণমূলের অসুবিধা হয়ে যাবে তাই পুলিস আমাকে আটকে দিয়েছে। আর এর দায় নিতে হবে পুলিশকেই। সাথে তিনি এও বলেন, “যে যে পুলিস কর্মীরা আমার পথ আটকালেন তাদের বিরুদ্ধে আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবো।”
প্রসঙ্গতঃ ২০২২ সালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিনেও লাউদোহা এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওওয়ারি। তখনও তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। ওই এলাকা থেকে ফেরত যেতে হয়েছিল তাঁকে।