কাঁকসায় প্রয়াত বিজেপি নেতা সন্দীপ ঘোষের মূর্তি ভাঙ্গার চেষ্টা, তৃনমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(কাঁকসা), ৫জানুয়ারীঃ
ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখে কাঁকসা থানার অন্তর্গত রূপগঞ্জ মোড়ে প্রয়াত বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষের আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় বিজেপির উদ্যোগে। রাতের অন্ধকারে সেই মূর্তি ইঁটের গায়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করে দুষ্কৃতিরা। এই ঘটনাকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার পেছনে তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের হাত রয়েছে বলে দাবি করে দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানানো হয় বিজেপির নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।
২০১৮ সালের ৯ডিসেম্বর রাতের বেলা দুষ্কৃতিদের গুলিতে মৃত্যু হয় রূপগঞ্জের বিজেপির বুথ সভাপতি সন্দোপ ঘোষ। সেই ঘটনার পর তোলপাড় হয়েছিল এলাকা। সন্দীপের মৃত্যুর পেছনে হাত ছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতি সাইফুল ও তার বাহিনীর, আর তাতে যোগ ছিল তৃণমূলের বলে দাবি করা হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। সেই ঘটনার যদিও এখনও কোনো কিনারা হয়নি। এরপর সন্দীপের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার একটি আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এরপরেই সেই মূর্তির উপর হামলা হয় গতকাল রাতে। এর পেছনে হাত রয়েছে তৃণমূলের বলে দাবি করা হচ্ছে বিজেপির পক্ষ থেকে।
প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে মুচিপাড়া শিবপুর রোড অবরোধ করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাতে উপস্থিত হন বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, নব্য বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দোপাধ্যায় প্রমূখ।
বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই অভিযোগ করেন সন্দীপ বোসের মূর্তি ভাঙ্গার পেছনে রয়েছে সাইফুলের গুণ্ডাবাহিনীর যোগ রয়েছে। অবিলম্বে যদি দোষীদের শাস্তি না দেওয়া হয় তাহলে বড় আন্দোলনের পথে পা বাড়াবে বিজেপি নেতৃত্ব বলেও হুঁশিয়ারী দেন লক্ষ্মণ ঘোড়ুই।
অপরদিকে, মলানদিঘির তৃণমূল নেতা প্রবোধ মুখার্জী জানান বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে এলাকায়। এদিনের কর্মটি তারই ফলশ্রুতি।
এদিকে, প্রায় ঘন্টাখানের এই অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।