দুর্গাপুরে বেসরকারী কারখানায় নিজেদের শ্রমিকদের জন্য ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৪জুনঃ
সরকারের ভরসাতে না থেকে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাজ্য জুড়ে একাধিক ইউনিট এর দশ হাজার কর্মীকে ভ্যাক্সিন দেওয়া শুরু করলো এক বেসরকারি ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি হাসপাতালের সহযোগিতাতে, মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে দেশ জুড়ে চলছে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। রাজ্যের সরকারী হাসপাতালগুলির পাশাপাশি সাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেও একই সাথে চলছে ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ। কিন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শ্রমিকদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজটা ছিল উপেক্ষিত। কোনো না কোনো কারণে এই শ্রমিকরা সংক্রমণের এই থাবা রুখতে ভ্যাক্সিন পাচ্ছিলেন না। অথচ সরকারের বিধি মেনে রোটেশন ভিত্তিতে এই শ্রমিকরা এই অতিমারীর সময় দিন রাত এক করে কারখানায় কাজ করে চলেছেন, জারি রেখেছেন উৎপাদন, যাতে করে দেশ ও রাজ্যের উন্নয়নের ধারা কোনো ভাবেই ব্যাহত না হয়। এই প্রথম দুর্গাপুরের কোনো বেসরকারী কারখানার কর্তৃপক্ষ তাদের দশ হাজার শ্রমিককে ভ্যাক্সিন দিল শুক্রবার। কাঁকসার বাঁশকোপা শিল্পতালুকের দুটি ইউনিটের পাশাপাশি মঙ্গলপুর ইউনিটের শ্রমিকদের এই ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ হলো। রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, ছিলেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শেখর চৌধুরী সহ কারখানার পদস্থ আধিকারিকরা, ছিলেন বিশিষ্ট ব্যাক্তিবৃন্দ।
রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন জানান,শ্রমিকদের জন্য এই ধরণের উদ্যোগ এই প্রথম, আর কারখানা কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসার দাবী রাখে। অন্যদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে অশোক কুমার সিং জানান, আমরা শ্রমিকদের জন্য সাধ্যমতো করার চেষ্টা করেছি।
সব মিলিয়ে শুধুমাত্র শ্রমিকদের জন্য সংক্রমণ রুখতে কারখানা কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগে খুশি শ্রমিকরাও। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবী দক্ষিনবঙ্গে এই প্রথম শুধুমাত্র শ্রমিকদের জন্য প্রথম কোনো কারখানা কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগ নিয়েছেন আর তারা চান বাকি সংস্থাগুলিও একই পথে হাঁটুক।