লছিপুরের নিষিদ্ধপল্লী থেকে উদ্ধার বাংলাদেশের মহিলা, গ্রেফতার দালালচক্রের এক
আমার কথা, আসানসোল, ১৯ ডিসেম্বর:
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার লছিপুরের যৌন পল্লী থেকে উদ্ধার এক বাংলাদেশী মহিলা, গ্রেফতার দালাল।
কানাডায় ভালো কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশী এক বিবাহিতা মহিলাকে সীমান্ত পার করে এনে যৌন ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ, আর তার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ মহিলাকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার নিয়ামতপুরের লছিপুর নিষিদ্ধপল্লী অর্থাৎ যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করলো কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে শিউলি নামে ধৃত দালাল চক্রের মহিলাকে৷ ধৃত ঐ দালাল অবশ্য বাংলাদেশের নয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ বর্তমানে দু’জনই আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছে৷ মহিলার স্বামী পাসপোর্ট সহ অন্যান্যা নথি পুলিশকে দেখিয়ে বলেন, আমি বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা। আমার স্ত্রীকে জোর করে গত ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার করে ভারতে এনে কুলটি থানা এলাকায় যৌন পল্লীতে রেখে যৌন ব্যবসায় নামানো হয়েছে আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কুলটি থানার পুলিশ লছিপুর নিষিদ্ধপল্লী হানা দিয়ে ঐ মহিলাকে উদ্ধার করে। একইসাথে গ্রেফতার করা হয় এক মহিলা দালালকে। শনিবার দুজনকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদেরকে আসানসোল জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শামীম মোহাম্মদ শাহিনীন বলেন পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের সহযোগিতায় তিনি তার স্ত্রীকে আবার বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে তার বিশ্বাস রয়েছে।