স্মারকপিলি জমা করাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, আহত ১০
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ৬জুলাইঃ
রাস্তা সারাইয়ের দাবি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গেল কাঁকসা ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দপ্তরে। আসিবাসীদের সাথে পঞ্চায়েত প্রধান সহ কয়েকজন কর্মীর মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ। ঘটনার জেরে কয়েকজন আহত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন।
জানা গেছে, কাঁকসার গোপালপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সাতটি গ্রামের আদিবাসী বাসিন্দারা গ্রামের রাস্তা সারাইয়ের দাবি নিয়ে আজ সোমবার পঞ্চায়েত দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিতে আসে। অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি জমা করতে গেলে এক্সিকিউটিভ অফিসার সুব্রত মজুমদারের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক আদিবাসী গ্রামবাসীদের উপর চড়াও হয়ে তাদের মারধর করে ঘরে আটকে রাখে।
অপরদিকে, পঞ্চায়েত প্রধান জয়জিৎ মন্ডলের অভিযোগ, বহু সংখ্যক আদিবাসীরা এক সাথে স্মারকলিপি জমা করতে এলে এক্সিকিউটিভ অফিসার সুব্রত মজুমদার তাদের ভিড় করতে বারন করেন। এরপরেই গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে।
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে ক্রমশ সরগরম হয়ে ওঠে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। আহত হয় দুপক্ষের মোট ১০জন। এরপর বিষয়টি চাউড় হতেই কনভেনার সুনীল সোরেনের নেতৃত্বে তীর, ধনুক, টাঙ্গি নিয়ে বহু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন উপস্থিত হন পঞ্চায়েত দপ্তরে। তাঁরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে দফতর ঘেরাও করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। আটক করা হয় পঞ্চায়েত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ অফিসার সুব্রত মজুমদারকে।