দুর্গাপুরে হোটেল ছাড়ার আগে একান্তে নরেনের সাথে কথা মমতার, কি বললেন দলনেত্রী?
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৪ এপ্রিলঃ
দুর্গাপুর ছাড়ার আগে জেলা সভাপতির সাথে একান্তে কথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা ব্যানার্জি। একান্ত কি কথা হলো দু’জনের মধ্যে ? তা নিয়ে জেলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা। ভোটের রণকৌশল নিয়েই কথা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
ভোট প্রচারে মালদা, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানে জনসভা সেরে সোমবার বিকেলে দুর্গাপুর আসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত্রি বাস করেন সিটি সেন্টার সংলগ্ন একটি তিনতলা বেসরকারি হোটেলে। বুধবার বেলা একটা নাগাদ তিনি পাড়ি দেন পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের উদ্দেশ্যে। সেখানে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। বুদবুদ রওনা হওয়ার আগে তিনি হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন। করিডোর পর্যন্ত এসে তিনি থমকে দাঁড়ান। এ সময় দেখা যায় জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তীর হাত ধরে মমতা কিছুটা দূরে গিয়ে একান্তে তার সাথে নিচু স্বরে কিছু কথা বলছেন। এই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীদেরও দূরে সরে যেতে দেখা যায়। পাঁচ থেকে সাত মিনিট চলে সেই কথোপকথন। যাবার সময় জেলা সভাপতির কানে একান্তে কি কথা বললেন মমতা? তা জেলা রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা ও কৌতুহল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা ভোটের রণকৌশল নিয়েই মমতা হয়তো কোনো জরুরী পরামর্শ দিয়ে গেলেন জেলা সভাপতিকে।
উল্লেখ্য পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভা ও বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার অন্তর্গত দুর্গাপুরের দুটি বিধানসভার দায়িত্বএ রয়েছেন নরেন বাবু। আসানসোল কেন্দ্রটি ধরে রাখা ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রটিতে জোড়া ফুল ফোটানোর গুরু দায়িত্ব রয়েছে নরেনবাবুর কাঁধে। কোন ফর্মুলাতে জয় আসবে, আর কি ঔষুধে বিরোধীদের কিস্তিমাত করতে হবে সম্ভবত সে বিষয়ে হয়তো মুখ্যমন্ত্রী জরুরি পরামর্শ দিয়ে যান নরেন বাবুর কানে। কথোপকথন নিয়ে দলনেত্রীর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন নরেন বাবুও। তাই কথোপকথনের বিষয় নিয়ে জল্পনা ও কৌতুহল ছড়িয়েছে জেলার রাজনীতিতে।