বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের গুরু দায়িত্ব পেলেন বিশ্বনাথ পারিয়াল
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(আসানসোল-দুর্গাপুর), ২৩জুলাইঃ
যদি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হয় তাহলে একুশের ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হতে আর প্রায় দশ মাস বাকি। তাই হাতে সময় থাকতে থাকতে তৃতীয়বারের মতো রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে আসতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সংগঠনে বেশ বড়সড় রদবদল ঘটালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বদোপাধ্যায়।
এই রদবদলের প্রভাব পড়ল পশ্চিম বর্ধমান জেলার সংগঠনের একাধিক পদেও। প্রথমতঃ সমগ্র রাজ্যের সাথে সাথে এই জেলাতেও দলের সব থেকে পুরোনো পদ জেলা পর্যবেক্ষকের পদটিকেই অবলুপ্ত করে ফেলা হল। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় দুর্গাপুর বিধানসভার দুটি কেন্দ্রেই তৃণমূলের শোচনীয় পরাজয় সহ একাধিক কারনে তৎকালীন পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসকে সরিয়ে সেই পদের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছিল কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরীকে। দিন কয়েক আগে দীপ্তাংশু চৌধুরীকে এস বি এস টি সির চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বভার দেওয়া হয়। এরপর এই জেলার চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বভার থেকে মুক্ত করে আরো বড় দায়িত্বের পদে বসানো হল ভি শিবদাসন দাসুকে। তাঁকে রাজ্যের সাধারন সম্পাদকমন্ডলীতে নিয়ে যাওয়া হল আর চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব সামলানোর গুরুভার দেওয়া হল এই জেলারই মন্ত্রী মলয় ঘটককে। তবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার সভাপতির রদবদল ঘটলেও এই জেলার সভাপতি পদে রয়ে গেলেন আসানসোলের মেয়র তথা পান্ডবেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারী। অপরদিকে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের যে সিংহভাগ শ্রমিক মহল রয়েছে তাদের মূল ভোট পাওয়ার লক্ষ্যে এবার আরো বড় দায়িত্বভার দেওয়া হল শ্রমিক নেতা বিশ্বনাথ পারিয়ালকে। দুটি নতুন পদ তৈরী করা হল কো-অর্ডিনেটর হিসেবে। যার একটি সামলাবেন শিল্পাঞ্চলের পোড় খাওয়া জনপ্রিয় নেতা বিশ্বনাথ পারিয়াল ও অপরজন হলেন হরেরাম সিং। জেলার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি পদের সাথে সাথে তিনি দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র দুটি সহ কুলটি ও বারাবনী বিধানসভা দুটিও সামলানোর দায়িত্ব পেলেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে দুর্গাপুরের পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রটি মূলতঃ শাসকদলের হাতছাড়া হয়েছিল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী বিশ্বনাথ পারিয়ালের কারনেই। তাই গতবার শিল্পাঞ্চলে শোচনীয় হার থেকে শিক্ষা নিয়ে সেই শিল্পাঞ্চলের ভোট বৈতরণি পার করার মূল দায়িত্বভার এবার যার হাতে তুলে দেওয়া হল, সেই শ্রমিক নেতা বিশ্বনাথ পারিয়াল কতটা দলনেত্রীর মুখরক্ষা করতে পারেন সেটার দিকেই তাকিয়ে শিল্পাঞ্চলের ঘাস ফুল শিবিরের কর্মী সমর্থকরা।