বীরভানপুর শ্মশানে শবদাহ নিয়ে চলছে তোলাবাজি, কড়া হাতে দমনের নির্দেশ বিধায়কের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৩মেঃ
দুর্গাপুর পুরসভায় সমস্ত কাউন্সিলর,মেয়র পরিষদ, পৌর কমিশনার সহ স্বাস্থ্য দপ্তর ও বিভিন্ন হাসপাতালের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করলেন দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার। এই বৈঠকে শ্মশান ও অ্যাম্বুলেন্স এর কালোবাজারির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সের কালোবাজারির ক্ষেত্রে তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিবহন সচিবকে জানিয়েছেন বলে জানান। যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন প্রদীপবাবু।
কোভিডে আক্রান্ত মৃতদেহ শ্মশানে পর্যন্ত আসবে হাসপাতালেরই অ্যাম্বুলেন্সে। সেখানে কেন বাইরের অ্যাম্বুলেন্স মৃতের পরিবারকে ভাড়া নিতে হবে তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন হাসপাতালের প্রতিনিধিদের কাছে। এছাড়া সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে সে ব্যাপারে তথ্য তুলে ধরেন বিধায়ক। মানবিক শহরে অমানবিক আচরণ কখনো বরদাস্ত করা হবে না বলে তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন। সকলকে এই ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে বলে তিনি আজ বৈঠকে বলেন। এছাড়া কালোবাজারি প্রশাসনের সামনে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের তিনি প্রশংসা করেন। আগামী দিনে আরো সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
উল্লেখ্য গতকাল বিকেলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক মহকুমা শাসক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও পুলিশের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল এবং বীরভানপুর শ্মশানে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য শ্মশানের কর্মী ও ডোমদের ক্ষেত্রে কাজ বন্টন করে দেওয়া এবং তদারকির জন্য পুরসভা থেকে মনিটরিং টিম এর ব্যবস্থা করা হয়। এবং এই মনিটরিং টিম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবে। ঘন্টায় ঘন্টায় পুলিশ রাউন্ড দেবে শ্মশান এলাকায়। আজকেও পুরসভায় এইরকমই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন দেখার এই কালোবাজারি বন্ধ করতে প্রশাসন যেভাবে কোমর বেঁধে নেমেছেন তা আদৌ কতটা বাস্তবায়িত হয়।