মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জের, বিজেপির প্রার্থীর মুখে লেপে দেওয়া হল কালি
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৬ মার্চঃ
সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত্য জ্বলছে দুর্গাপুর। কখনও প্রার্থীর মন্তব্যের সরাসরি নিন্দা জানিয়ে, কখনও ছবির প্রার্থীর মুখে কালি লেপে আবার কখনও প্রার্থীর কুশপুতুল পুড়িয়ে কিংবা শয়ে শয়ে মহিলারা শহরের রাস্তায় বেরিয়ে প্রার্থীকে ধীক্কার জানিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি রেখে। এভাবেই মঙ্গলবার সারাটা দিন উত্তপ্ত হয়ে রইল শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি। আর এই পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট যিনি তৈরী করলেন তিনি আর কেউ নন খোদ বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গতঃ বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ। রবিবার তাঁর নাম ঘোষণার পর গতকাল তিনি দুর্গাপুরে এসে পৌঁছোন আর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়েই তিনি স্বভাবসিদ্ধ: ভঙ্গিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেন। তাঁর আক্রমন থেকে বাদ যাননি তৃণমূল প্রার্থীও। আর এই মন্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় ঘাস ফুল শিবিরে। জেলার দুই মন্ত্রী থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি এমনকি এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তাঁর নিন্দায় সরব হন। শুধু তাই নয়, দলের পক্ষ থেকে দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগও জানানো হয়।
তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। বলেন, দিলীপ ঘোষের মানসিক ভারসাম্য দিন দিন খারাপ হচ্ছে। একবার তিনি মা দুর্গাকে নিয়ে অপমান করেছিলেন, আর আজ দিদিকে নিয়ে করছেন। নারীদের প্রতি বিজেপির মনে কোনদিন সম্মান ছিল না। যারা মা দুর্গাকে, ভারতীয় মহিলাদের সম্মান করে না তাদের মানুষ কখনই সহ্য করবে না। এদের বহিষ্কার করা উচিত। এদের মানসিক হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হওয়া উচিত। এই ধরনের মানুষদের সমাজে থাকার কোনো অধিকার নেই।
এদিকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যেমন তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করে তেমনি তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভের পারদ চড়তে থাকে। এদিন বিকেলে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অসীমা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি ধীক্কার মিছিল বের হয়। বেনাচিতির কাইজার মোড় থেকে মিছিলটি বেরিয়ে প্রান্তিকায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে পা মেলান প্রচুর তৃণমূল মহিলা কর্মীরা। মিছিল শেষে দিলীপ ঘোষের কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। মিছিল থেকে দিলীপ ঘোষকে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানানো হয়।