বর্ধমানে গৃহস্থের বাড়ি থেকে তাজা বোমা উদ্ধার
আমার কথা, পূর্ব বর্ধমান, ২৬ মার্চঃ
বর্ধমান থানা অন্তর্গত শহর লাগোয়া কৃষ্ণপুর পশ্চিম পাড়ায় ফিরোজ মল্লিকের বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হলো তাজা বোমা,গ্রেফতার হলেন বাড়ির মালিক ফিরোজ মল্লিক।
বোমা আতঙ্কের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় বর্ধমান শহর তথা কৃষ্ণপুর গ্রামে।
উলেখ্য গতকাল রাতে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কৃষ্ণপুর পশ্চিম পাড়ায় পৌঁছে ফিরোজ মল্লিকের বাড়িতে হানা দেয়,বাড়ির ছাদে একটি থলের মধ্যে বোমা মজুত থাকায় বর্ধমান থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলকে ঘিরে রাখে,মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী।
কার্যতঃ বোম্ব স্কোয়াড না আসা পর্যন্ত সারা রাত সকাল এবং দুপুর পর্যন্ত পুলিশের প্রহরী থাকে।
আজ দুপুরে দিকে বোমস্কোয়ার্ড প্রতিনিধি দল এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
সম্প্রতি ফিরোজ মল্লিকের ভাই শাহাবুদ্দিন মল্লিক জানান,আমরা তিন দাদা ভাই তার মধ্যে মেজ দাদা মারা গেছেন,এছাড়া পুরো বাড়ি ও জমি সবই ওয়াকাফের জায়গার উপর,সুতরাং দীর্ঘদিন বাবদ ওয়াকাফের জমি দান পত্র হিসেবে মল্লিক পরিবারের দখলে আছে,সেই মোতাবেক মেজ দাদা মরার পর অর্থাৎ তার জমি সংক্রান্ত নিয়ে বিবাদ চলছিল ক্রমশই। আর এর মধ্যে সুযোগ নেন শহরের এক প্রমোটার সেটাই বাধা দেওয়ার কারণে রাতের অন্ধকারে বোমা রেখে যায় মল্লিক পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য।
এখন প্রশ্ন রাতের অন্ধকারে গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে পুলিশ পৌঁছে বাড়ির কর্তা ও মহিলাদের হুমকি ও চোর থাপ্পড় মারে বলে অভিযোগ ফিরোজ মল্লিকের স্ত্রী শাকিলা মল্লিক ও ছেলে ইব্রাহিম মল্লিকের।
এখন দেখার আগামীতে আসল তথ্য কি বেরিয়ে আসবে? নাকি জমি বিবাদ নিয়ে দখলদারি নিয়ে প্রমটরের রাজ কায়েম থাকবে এই ওয়াকফ স্টেটের সম্পত্তি নিয়ে?