“মরেও শান্তি নেই”- দুর্গাপুরে মৃত ব্যাক্তির মৃত্যুর কারন নিয়ে দিনভর টানাপোড়েন, সৌজন্যে সরকারী হাসপাতাল
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৬সেপ্টেম্বরঃ
এক ব্যাক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তেজনা থাকল দুর্গাপুরের সরকারী হাসপাতালে যার পরিসমাপ্তি ঘটল রাতে। কথায় বলে “মরেও শান্তি নেই” এরকমই পরিস্থিতি হল দুর্গাপুরের বেনাচিতির এক মৃত ব্যাক্তির।
জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখে করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় বেনাচিতির বাসিন্দা প্রমোদ গুপ্তা নামেএক ব্যাক্তি মলানদিঘির করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন আর ফের পরীক্ষা করার পর রিপোর্ট নেগেটিভ বলে ওই হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেট দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সোমবার রাতে ওই ব্যাক্তির শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে রাত পৌণে দশটা নাগাদ ভর্তি করা হয়। রাখা হয় ওই হাসপাতালের সিসিইউ ইউনিটে। কিন্তু মিনিট পাঁচেক পরেই ওই ব্যাক্তি মারা যান। আর এরপরেই ওই সরকারী হাসপাতলের চূড়ান্ত গাফিলতির চিত্র প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ উঠছে ডেথ সার্টিফিকেটে লিখে দেওয়া হয় ওই ব্যাক্তি করোনা পজিটিভ। সেই সার্টিফিকেট সহ মৃত ব্যাক্তিকে সৎকারের জন্য বীরভানপুরের শ্মশানে পৌঁছোলে সেখানকার কর্মীরা দাহ করতে অস্বীকার করেন। খবর যায় মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে ও কোকওভেন থানায়। ওই ব্যাক্তির মৃতদেহ ফের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়, সাথে সার্টিফিকেটের ভুলও শুধরে নেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। ঠিক হয় রাতে ওই ব্যাক্তির সৎকার করা হবে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিষয়টি স্বীকার করে নেন হাসপাতালের সহ প্রশাসনিক অধিকর্তা স্বরূপা ভট্টাচার্য, সাথে তিনি এও জানান এতবড় ভুল কি করে হল তা জানার জন্য হাসপাতাল সুপারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করে দেখা হবে।