দুর্গাপুরে ক্রমবর্ধিত করোনা প্রতিরোধে ফের প্রশাসনিক নিয়মে রদবদল, কার্যকরী আগামীকাল (২০ জুলাই) থেকে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৯জুলাইঃ
শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে ক্রমশই বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই বর্ধিত সংখ্যা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের কপালে। একদিকে যেমন চিন্তা কিভাবে করোনার থাবা থেকে শিল্পাঞ্চলবাসীকে বাঁচানো যায় তেমনই অন্যদিকে চিন্তা কিভাবে শিল্পাঞ্চলবাসীর জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক রাখা যায়। এই চিন্তাভাবনাকে ফলপ্রসূ করতে আজ রবিবার দুর্গাপুর নগর নিগমে একটি জরুরী বৈঠক করা হল। এই বৈঠকটি হল দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন, দুর্গাপুর পুলিশ ও দুর্গাপুর নগর নিগমের মধ্যে। বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিকগণ, মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি সহ মেয়র পারিষদ ও কাউন্সিলররা।
এদিনের বৈঠক শেষে ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান যে, করোনা প্রতিরোধে শহর দুর্গাপুরে যত রকমের সমস্যা আছে সেই সমস্ত সমস্যা সমাধানে সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত পুলিশ প্রশাসন। চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাজার সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা যাবে তা নিয়ে মূলতঃ আজকের বৈঠকে আলোচনা করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা পরিষেবার আরো উন্নতি, রোগীর পরিষেবার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সে সার্ভিসে চালকদের ভীতি দূর করার ক্ষেত্রে সচেতনতা, করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হলে তার দাহকার্য কোথায় কিভাবে করা হবে তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি দুর্গাপুরের যে সমস্ত বাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে অসুবিধা হচ্ছে সেই সমস্ত বাজারগুলি যাতে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে দুর্গাপুর বনিক সভার সাথেও আলোচনা করে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সাথে তিনি এও জানান যে, করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে মাস্ক নিয়ে ধারাবাহিক অভিযান চালানো হবে, আর বিষয়টি যাতে সঠিকভাবে কার্যকরী করা হয়, সেক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন কড়া মনোভাব রাখবে।
অপরদিকে মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে জানান যে, করোনার সংক্রমন যেভাবে শহরের বুকে বাড়ছে তা প্রতিরোধে এবার আরো কড়া হবে প্রশাসন। আর তার জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মহকুমা প্রশাসনের তরফে। দুর্গাপুর বনিকসভার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামীকাল থেকে দুর্গাপুরের সমস্ত বাজার সকাল ৮টায় খুলবে আর বেলা ১টার মধ্যেই তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। অবশ্য এই সময়সীমার বিধি নিষেধ ওষুধের দোকান ও অত্যাবশ্যকীয় পন্যের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে না। এর পাশাপাশি তিনি আরো জানান শহরের সমস্ত রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলি খোলা থাকবে শুধুমাত্র হোম ডেলিভারীর জন্য। রেস্তোরা ও হোটেলে বসে খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন না কেউ। এই নিয়মগুলি মহকুমা প্রশাসন ও দুর্গাপুর নগর নিগমের অন্তর্ভুক্ত শহর ও গ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হবে।