করোনা আবহে মায়ের পারলৌকিক কাজে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বন্ধ রেখে দুঃস্থ আদিবাসীদের পাশে দাঁড়ালেন দুর্গাপুরের ছবি দাস
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৭আগস্টঃ
“জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” এই উক্তিটি স্বামী বিবেকানন্দের, আর তাঁর এই বাণীকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন ছবি দাস। তাই মায়ের পারলৌকিক কাজে বাড়িতে অতিথি অভ্যাগতদের ডেকে ভালমন্দ খাওয়ানীওর থেকে গরীব দুঃখীদের মুখে দু মুঠো খাবার তুলে দেওয়া অনেক বেশী ঈশ্বর সেবার কাজ হবে বলে মনে করেছিলেন তিনি তাই তো মায়ের পারলৌকিক কাজে নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়ন না করে সেই অর্থে আদিবাসীপাড়ার গরীব মানুষগুলোর হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়াটাই বেশী জরুরী মনে করেন তিনি, আর তাঁর এই কাজে পাশে এসে দাঁড়ান তাঁর ভাইয়েরাও।
কাঁকসার আড়া কালীনগরের বাসিন্দা ছবি দাসের মা শান্তি দাসের বার্ধক্যজনিত কারনে মৃত্যু হয়। তাই শাস্ত্র অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে হবে। ছবিদেবী জানান তাঁর মা শান্তিদেবী বরাবর গরীব দুঃখীদের ভালবাসতেন তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করতেন। তাই তাঁর পারলৌকিক কাজে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি এই পদক্ষেপ নেন। পাশাপাশি তিনি আরো জানান যে করোনাও একটি কারন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে। কারন সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে তাঁর। বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করলে বহু মানুষের সমাগম ঘটবে তাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা খুবই মুস্কিল হবে আর তাতে সংক্রমন ছড়ানোর প্রবল সম্ভাবনা তৈরী হতো। তাই তিনি বাড়িতে এই অনুষ্ঠান করা থেকে বিরত থাকেন। সব মিলিয়ে আজ তিনি তাঁর ভাইদের সহযোগিতায় বড়ডোবা আদিবাসীপাড়ার প্রায় দেড়শ’ জন মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক, স্যানিটাইজার সহ কিছু টাকা তুলে দেন। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান শিল্পাঞ্চলবাসী সাথে এই মহতি উদ্যোগে খুশি ওই আদিবাসীপাড়ার মানুষজনও।