দুর্গাপুরে করোনায় আক্রান্ত ৩ শিশু, তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত?

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৬ সেপ্টেম্বরঃ
এবার করোনায় আক্রান্ত হতে শুরু করল শিশুরা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩ জন শিশু বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে খবর। তবে রবিবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো শিশুর ভর্তি হওয়ার খবর নেই।
জেলা সহকারী স্বাস্থ্য আধিকারিক কেকা মুখোপাধ্যায় বলেন অতিরিক্ত ভিড়, মাস্ক না পরার প্রবনতার কারনে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। অনেকের ভ্যাক্সিনের দুটো ডোজ নেওয়ার পর মনে করছেন তাদের আর করোনা হবে না। কিন্তু এটা ভুল ধারনা। ভ্যাক্সিনের ডোজ সম্পূর্ণ নেওয়া হলে হয়ত করোনার তীব্রতা কমবে। তাই সাবধানে ভিড় এড়িয়ে চলা উচিত। তিনি শিশুদের করোনা প্রসঙে জানান যে, বাচ্চাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা পরিবারের লোকজন বিশেষ করে বাবা মায়ের থেকে। তাই বাড়ি করোনার বিধি নিষেধ সঠিকভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন কেকাদেবী। তিনি আরো বলেন বয়স্ক ও শিশুরা করোনায় আক্রান্ত হলে তার তীব্রতা অনেক বেশি হবে। জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ১০০ জন শিশু ভর্তি হয়েছিল। এদের সকলেরই করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালেও ৫০ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। এদেরও করোনার পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জেলা সহকারী স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি আরো বলেন পুজোর বাজারে অতিরিক্ত ভিড় করাও এই ঘটনার পেছনে একটা কারন। তাই ভিড় এড়িয়ে চলার কথাও বলেন তিনি। তিনি বলেন হাসপাতালে রোগী ও তাদের সাথে থাকা পরিজনদেরও করোনার বিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক ছাড়া অনেকেই চলাফেরা করছেন যার থেকে করোনা ছড়াচ্ছে আর তার থেকে বাচ্চারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে রোগীর পরিজনদের অভিযোগ হাসপাতালে শিশু বিভাগে এক বেডে দু তিনটে শিশুকে এক সাথে রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে নজরদারি বাডানো হবে বলে জানান কেকা মুখোপাধ্যায়।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ কিংবা অক্টোবর মাসের শুরুতে করোনার তৃতীয় ঢেউ ফের আছড়ে পড়তে পারে আর এ বারের এই করোনায় বাচ্চাদের আক্রান্তের সম্ভাবনা তীব্র রয়েছে বলে আগাম সতর্ক করা হয়েছিল করোনা বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে। দুর্গাপুরে এই তিনটি শিশুর করোনায় আক্রান্তের ঘটনা কি তৃতীয় ঢেউয়েরই ইঙ্গিত?