সিন্ডিকেট এর নাম করে তোলা চেয়ে হুমকি, শ্রীঘরে কয়লা মাফিয়া
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২১ জানুয়ারীঃ
কয়লা সিন্ডিকেটের নাম করে তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়ায় গ্রেফতার হলেন কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া নরেশ রাম। ধৃত ব্যাক্তিকে মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে একদিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খনি এলাকায়।
বছর দুয়েক আগে কয়লার ডিও(ডেলিভারী অর্ডার) কে ঘিরে গড়ে ওঠে সিন্ডিকেট ওঠে খনি এলাকায়। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ডিওর মাধ্যমে কয়লা কিনতো। এই লিফটিংকে টার্গেট করে সিন্ডিকেটরা আর এই ডিওর কয়লা নিলেই তাদেরকে তোলা দিতে হতো টন প্রতি। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেই ভেঙে যায় সিন্ডিকেট রাজ আর সিন্ডিকেটের মাথারা অনেকেই গা ঢাকা দেয় বলে খবর। এখন একটি নতুন সিন্ডিকেট তৈরির তোড়জোড় চলছে। এর মাঝেও যে ধমকি দিয়ে টাকা তোলা বন্ধ হয়নি পুরোপুরি তা নরেশ রামের গ্রেফতারির ঘটনায় প্রকাশ্যে এলো।
রানীগঞ্জের বাসিন্দা নরেশ রাম দীর্ঘদিন ধরে ডিওর কয়লা ব্যবসায়ী বলে নিজেকে পরিচয় দেন। কিন্তু তার আড়ালে তিনি সিন্ডিকেটের নাম করে ডিওর কয়লা থেকে তোলাবাজি করছিলেন বলে অভিযোগ। মাফিয়া বলেও পরিচিত। এরই মধ্যে একটি তোলাবাজির অভিযোগ আসে অন্ডাল থানায় নরেশ রামের বিরুদ্ধে। অভিযোগটি জানান সুদূর উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের সংস্থা আর আর কোল এন্ড মিনারেলস এর যশ আনন্দ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নরেশ রামকে আজ মঙ্গলবার অন্ডাল থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত নরেশ রাম নিজেকে সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত বলে পরিচয় দেন। গতকাল অর্থাৎ সোমবার কুনস্তরিয়া ইনফরমেশন গ্রুপ নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে একটি বার্তা দেন, যেখানে তিনি লেখেন খান্দ্রা কোলিয়ারি থেকে যে ব্যাক্তি ই-অকশনের মাধ্যমে কয়লা কিনবেন তাঁকে টন প্রতি ১০৫০ টাকা তোলা দিতে হবে। এই বার্তার পরেই বেশ হইচই পড়ে যায়। তারপরেই অন্ডাল থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পরে এই কয়লা মাফিয়ার বিরুদ্ধে।
প্রসংগতঃ এই নরেশ রামের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অপরাধে পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে। যার মধ্যে ২০১৫ সালে গাড়ি হাইজ্যাক করার অভিযোগে এই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অন্ডাল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়, যার মামলা এখনও চলছে।