দুর্গাপুরে বনধ সমর্থনকারীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে কোকওভেন থানা ঘেরাও
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৭নভেম্বরঃ
কেন্দ্রীয় জনস্বার্থ বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ২৬ নভেম্বর অর্থাৎ গতকাল বাম কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যৌথভাবে সারা দেশব্যাপী বনধ ডাকা হয়েছিল। দুর্গাপুরেও এই বনধ সফল করতে সকাল থেকেই পথে নামেন বাম কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড় সংলগ্ন ২নং জাতীয় সড়কের উপর বসে পড়েন। অবরুদ্ধ হয়ে পরে ব্যস্ততম এই সড়ক। পুলিশ গিয়ে প্রথমে তাদের এই অবরোধ তুল্বে নেওয়ার আবেদন করে। অবরোধকারীরা তাতে কর্ণপাত না করলে পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাথে বচসা বেঁধে যায় আর তারপরেই পুলিশ অবরোধ হঠাতে অবরোধকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ আর এই লাঠিচার্জে অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছিলেন কোকওভেন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মনোজিৎ ধারা আর পুরো বিষয়টি নির্দেশনায় ছিলেন দুর্গাপুরের সদ্য প্রাক্তন সিআই অর্ঘ্য মণ্ডল বলে অভিযোগ করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার।
পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, গতকাল আমাদের এই আন্দোলনের শ্লোগান ছিল মোদি সরকারের পরিবর্তন। মমতা সরকারের পরিবর্তনের কোনো শ্লোগান আমরা দিইনি। ছিল কেন্দ্র ও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই করছিলাম। তাহলে কার নির্দেশে এই দুই পুলিশ আধিয়াক্রিক আমাদের উপর এরকম অমানুষিক অত্যাচার করল? পুলিশ তাদের উপর লাঠি চালালো। গতকাল পুলিশ বাম কংগ্রেসের মোট ৩৩১জন সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের লাঠিচার্জে ২৮ জন কর্মী জখম হয়েছেন। অথচ এই কান্ড ঘটানোর আগে পুলিশ তাদের সাথে কথা বলার সৌজন্যটুকু দেখায়নি।
পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিকেলে কোকওভেন থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বাম কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। তাদের দাবি গতকাল পুলিশের এই আচরনের যথাযথ তদন্ত হোক, সাথে তাঁরা কোকওভেন থানার আধিকারিকের অপসারনেরও দাবি জানান।