দুর্গাপুরে পুরনির্বাচনে ভোট লুট করে পাপ করেছি-স্বীকারোক্তি জিতেন্দ্রর
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১ মে:
দুর্গাপুরের রাজনীতিতে এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে ২০১৭ সালে পুর নির্বাচনটি। ওই বছর দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচনে বিরোধী শূণ্য বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই বছর পুর নির্বাচনে বহিরাগত দুষ্কৃতিদের এনে রীতিমতো ভোট লুট করে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলির। সেই সময় পশ্চিম বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস। পাশাপাশি সেই সময় আসানোলের মেয়র তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারী। বিরোধীদের একাংশ অভিযোগ তুলেছিলেন সেই বছর দুর্গাপুরে পুরভোটের দিন বহু বহিরাগতকে মুখ বেধে শহরের বুকে দাপিয়ে বেড়াতে দেখাতে গেছে। ভোট লুট করতে এই বহিরাগতদের ঝাড়খন্ড ও বিহার থেকে নিয়ে এসেছিলেন বর্তমান বিজেপি নেতা তথা তৎকালীন তৃণমূলের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারী বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। তবে বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারী। কিন্ত আজ প্রকাশ্যে তা স্বীকার করে নিলেন তিনি। বললেন দল থেকে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সব কটি ওয়ার্ডেই তৃণমূলকে জেতাতে হবে। সেই নির্দেশ পালন করতে তাকে এক মাস আগে থেকে দুর্গাপুরে এসে থাকতেও হয়েছিল। তবে সেদিনের তার সেই কাজের জন্য আজ তিনি অনুতপ্ত। দুর্গাপুরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন সেদিনের ভোটলুটের পাপ কাজের অংশীদার তিনি ছিলেন। তাই তিনি দুর্গাপুরের মানুষদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। প্রসঙ্গত: এখনো শিল্পাঞ্চলে সিপিএম কর্মীরা ওই দিনটিকে “কালা দিবস” হিসেবে পালন করেন।
প্রসঙ্গত: এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলার নাম আসানসোল দুর্গাপুর করা হোক এই দাবি জানাতে দুর্গাপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। সেই বৈঠক থেকেই দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচনে লুটের বিষয়টি নিয়ে দু:খ প্রকাশ করেন জিতেন তিওয়ারি।