নিজের জন্মদিনে ১৫০০ দুঃস্থ শিশুর মুখে হাসি ফোটালেন দুর্গাপুরের ২৩নং ওয়ার্ডের পুরপিতা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(লাউদোহা), ২১নভেম্বরঃ
যতদিন শুধু আইনজীবি ছিলেন ততদিন পরিবার পরিজন, বন্ধু বান্ধবদের সাথেই তাঁর জন্মদিনটি পালন করে আসছিলেন। কিন্তু যেদিন থেকে তিনি শুধু আর আইনজীবি নন দুর্গাপুরের ২৩নং ওয়ার্ডের পুরপিতা হলেন সেদিন নিজের পরিবারের গন্ডি ছাড়িয়ে একজন সমাজসেবী হয়ে উঠলেন আর তবে থেকে প্রতি বছরই নিজের জন্মদিনের আনন্দ তাঁর ওয়ার্ডের মানুষগুলির সাথে ভাগ করে নিতেই তিনি এখন বেশি পছন্দ করেন। এ বছরও তার ব্যাতিক্রম ঘটল না। এ বছর তাঁর জন্মদিনের কেক কাটা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া সবটাই হল খোলা আকাশের নিচে আর সেই জন্মদিনের মুখ্য অতিথি ছিল তাঁরই ওয়ার্ডের দুঃস্থ শিশুরা। ২৩নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী প্রায় দেড় হাজার দুঃস্থ শিশুদের আজ পাত পেড়ে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করলেন পুরপিতা দেবব্রত সাঁই। কি ছিল না এই মধ্যাহ্নভোজনে, ভাত ডাল, তরকারী থেকে শুরু করে মাংস মিষ্টি সবই। তবে জন্মদিনে বাচ্চাদের নিয়ে সারাদিন আনন্দ করলেও করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি কিন্তু মাথায় রেখেছিলেন পুরপিতা আর তাই খাওয়া দাওয়ার জায়গায় প্রবেশ করানোর আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই শিশুদের মাস্ক পরানো হয় সাথে স্যানিটাইজার দিয়ে জীবানুমুক্তও করানো হয় শিশুদের।
পুরপিতা দেবব্রত সাঁই বলেন, করোনা পরিস্থিতির সময় দুঃস্থ মানুষগুলির অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছিল। আমি এই অসহায় মানুষগুলির পাশে সব রকম ভাবেই থাকার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে লকডাউনের সময় আমাদের ঘরের শিশুরা যখন ভালমন্দ খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়নি সেখানে এই দুঃস্থ শিশুরা বলতে গেলে প্রায় অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটিয়েছে। তাই আমার জন্মদিনটা তো একটা উপলক্ষ মাত্র। এই অসহায় শিশুগুলোকে একটু খাইয়ে তাদের মুখের হাসি ফুটিয়ে তোলাটাই আমার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। তবে এ বছর বলে নয় প্রতি বছরই আমি চেষ্টা করি আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য কিছু না কিছু করতে। প্রথম বছর মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত দিয়ে ওয়ার্ডবাসীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়। তার পরের বছর বস্ত্র ব্যাংক, খাদ্য ব্যাংক তৈরী করি।
পুরপিতার জন্মদিনে এহেন অনুষ্ঠানে সামিল হয়ে যারপরনাই খুশি ছোট ছোট শিশুরা।