বাহিনীতে আপত্তি নেই, মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবে: দেবাংশু ভট্টাচার্য
আমার কথা, অন্ডাল, ৪ জুলাই:
ভোটে কেন্দ্র বাহিনীতে তৃণমূল বা রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই। দেশী বিদেশী যে বাহিনীই আসুক মানুষ ভোট দেবে তৃণমূলকেই, এদিন অন্ডালে প্রচার সভায় একথাই বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে মঙ্গলবার অন্ডালে তিনটি সভা করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা দলের আই.টি ও সোশ্যাল মিডিয়ার সেলের স্টেট ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য। এদিন বিকেলে প্রথম সভাটি হয় উখড়া গ্রামের পুরাতন হাটতলায়। শেষ দুটি সভা হয়, দক্ষিণখন্ড গ্রামের ধর্মরাজ মন্দির চত্বর ও অন্ডালের পোস্ট অফিস মোড় এলাকায়। তিনটি সভাতেই প্রচুর ভিড় হয়েছিল বলে দাবি তৃণমূলের।
বক্তৃতায় দেবাংশু এদিন তুলে ধরেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণকর প্রকল্পগুলির কথা। বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সুবিধার জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প চালু করেছেন, যার সুবিধা রাজ্যের প্রতিটি মানুষ পাচ্ছেন। দেশের অন্যান্য রাজ্য গুলি মমতার প্রকল্প গুলি নকল করে সেই রাজ্যে চালু করতে বাধ্য হচ্ছে এখন। এ থেকেই প্রমাণ হয় মমতা ব্যানার্জি একজন বিচক্ষণ প্রশাসক। মমতা ব্যানার্জি আজ যা ভাবেন অন্যরা সেটা পরে ভাবে। “লক্ষীর ভান্ডার”- প্রকল্পে রাজ্য সরকার মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দিচ্ছে। আগে বিরোধীদল গুলি, এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে বলেছিল সরকারি পয়সার অপচয় করা হচ্ছে। এখন পাল্টি খেয়ে বিজেপি বলছে, আমরা ক্ষমতায় এলে প্রতি মাসে ২০০০ টাকা করে দেব।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি প্রসঙ্গে দেবাংশু বলেন ছোটবেলায় রেডিওতে মহালয়া হলে আমরা বুঝতাম দুর্গাপূজো এসে গেছে। এখন ইডি, সিবিআই নোটিশ পাঠালে বুঝতে পারি ভোট এসেছে। ভোট এলেই মোদি সরকার এজেন্সি গুলোকে সক্রিয় করে তোলে। রাজনৈতিক মোকাবিলায় না পেরে ওঠার কারণে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে, বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধী নেতাদের ওপর। ওয়াশিং মেশিন প্রসঙ্গে দেবাংশু বলেন বিজেপি এজেন্সি গুলোকে দিয়ে বিরোধীদের প্রথমে নোটিশ পাঠায়, তারপর চাপে পড়ে যারা বিজেপিতে যোগ দেন বিজেপি ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে তাদের ক্লিংচিট সার্টিফিকেট দেয়। উদাহরণস্বরূপ তিনি মহারাষ্ট্রের অজিত পাওয়ারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের একাংশের কাছে দেবাংশু বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীতে রাজ্য সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেসের কোন আপত্তি নেই। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন্দ্র বাহিনী দিতে পারছে না এটা তাদের ব্যর্থতা। বলেন কেন্দ্রীয় বা দেশি-বিদেশি যে কোন বাহিনী দিয়ে ভোট করালেও মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবে। কারণ কোন দলটা ভালো, আর কোন দলটা খারাপ তা বাংলার মানুষ ভালো করে জানে।