এইচ.এফ.সি.এল কলোনীতে আচমকা শুরু হয়েছে কোয়ার্টার ভাঙ্গার কাজ, আতঙ্কিত আবাসিকরা
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৪ অক্টোবর:
দিন পনেরো ধরে চলছে ভাঙ্গাভাঙ্গির কাজ। প্রথমে হাসপাতাল, তারপর হস্টেল এরপর টাইপ-১, টাইপ-২ কোয়ার্টারগুলি ভাঙার কাজ চলছে দুর্গাপুরের এইচ.এফ.সি.এল কলোনীতে।আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে আবাসিকদের মধ্যে। ওই এলাকার আবাসিক সঞ্জীব ঘটক, বন্দনা চ্যাটার্জি জানান, দিন কয়েক ধরে এই ভাঙাচোরার কাজ শুরু হয়েছে, আর এই বিষয়ে তাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছে। তারা জানেন না কেন হঠাৎ এই ভাঙার কাজ শুরু হল, বা কারা ভাঙছে, কি উদ্দ্যেশ্যে ভাঙা হচ্ছে, বা কার নির্দেশে ভাঙ্গা হচ্ছে, আর তাদের ভবিষ্যতই বা কি?
এই বিষয়ে আজ আবাসিকরা এই সংস্থার দুর্গাপুরের অফিসের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গৌতম বিশ্বাসের কাছে যান বিষয়টি জানতে। আবাসিকদের অভিযোগ, তাদের লিজের টাকা কয়েকদিন দিতে দেরী হলে বাড়ি বাড়ি চিঠি পাঠানো হয় টাকার জন্য, অথচ এত বড় একটা কাজ সংস্থার তরফে শুরু করা হবে সে বিষয়ে কেন তাদের জানানো হল না? সে বিষয়ে গৌতমবাবু জানান তার এই বিষয়টি জানা নেই। পাশাপাশি কাজের লিখিত কোনো অর্ডারও তিনি দেখাতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ আবাসিকদের।
প্রসঙ্গত: এই হিন্দুস্থান ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড ১৯৭৮ সালে তৈরী করা হয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। একটি দুর্গাপুরে ও অপরটি গড়ে উঠেছিল হলদিয়াতে। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার কারনে ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ওই কারখানার অধিকাংশ কর্মীরা কারখানার আবাসনে থেকে যান। বর্তমানে ওই কারখানার আবাসনে কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বসবাস করে ১৫৬টি পরিবার, যাদের অধিকাংশই বয়স্ক। এই ঘটনায় এখন বেশ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন ওই বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষগুলি। তারা বলেন আজ আমাদের অন্ধকারে রেখে যেভাবে ভাঙার কাজ চলছে, কাল এসে আমাদের যে আচমকা উঠে যাওয়ার নোটিশ ধরানো হবে না সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গৌতম বিশ্বাসের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।