এবার করোনার হানা খোদ দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের দপ্তরে, আক্রান্ত এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২৬জুনঃ
করোনার থাবার এবার আক্রান্ত হলেন খোদ মহকুমা শাসকের দফতরের একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তথা ডেপুটি কালেক্টর। তাঁকে তড়িঘড়ি করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। পাশাপাশি গোটা প্রশাসনিক ভবনটি আজ জীবানুমুক্ত করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো চত্বরে।
জানা গেছে, দুর্গাপুর মহকুমা প্রসাসনে কর্মরত একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট গত চার পাঁচদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তাতে সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁর লালারস পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁকে মলানদিঘির করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাশাপাশি এই প্রশাসনিক ভবনে কর্মরত যারা যারা ওই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সান্নিধ্যে এসেছিলেন সেরকম ৫০ জন কর্মী সহ আধিকারিকের আজ করোনার পরীক্ষা করার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। এমনকি খোদ মহকুমা শাসক নিজেও এই পরীক্ষার জন্য নমুনা পাথিয়েছেন। সাথে এই ৫০ জন নিজেদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এদিকে ওই প্রশাসনিক ভবনে রয়েছে মহকুমা আদালত, যেখানে বহু মানুষের সমাগম হয়। শুধু তাই নয় এই ভবনে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন দপ্তরও। বিষয়টি জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সকলের মধ্যে।
মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে জানান, “আক্রান্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এখন অনেকটাই ভাল আছেন। তবে আমরা কোনো ঝুঁকি নেবো না। তাই পুরো প্রশাসনিক ভবন আমরা দমকল বিভাগকে দিয়ে জীবানুমুক্ত করিয়েছি। পাশাপাশি আজ থেকে সোমবার পর্যন্ত্য আমাদের দফতর বন্ধ থাকবে। সাথে বন্ধ থাকবে আদালতও। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় সমস্ত কাজ আপাততঃ অনলাইনের মারফত করা যাবে।” পাশাপাশি মহকুমা শাসক সকল দুর্গাপুরবাসীর উদ্দেশ্যে জানান যে, “এখন একটা সমস্যার মধ্যে দিয়ে আমরা চলচ্ছি। আমাদের সাধারন মানুষের স্বার্থে কাজ করছি ফলে একটা ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। তবে এই বিপদের থেকে আমরা নিশ্চিত বেরিয়ে আসব। সকলে যেন আমাদের সহযোগিতা করেন। কেউ যেন এতে আতঙ্কিত না হন।”