কাস্ট সার্টিফিকেট এর দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে ধর্নাতে বসলো প্রতিবন্ধী কিশোর

আমার কথা, অন্ডাল, ২৪ ফেব্রুয়ারী:
আবেদন করেও পায়নি কাস্ট সার্টিফিকেট, ফলে মিলছে না সরকারি সুযোগ সুবিধা। কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে ধরনাতে বসলো প্রতিবন্ধী পড়ুয়া কিশোর। কাজোরা পঞ্চায়েতের ঘটনা।
খাসকাজোড়া কোলিয়ারির বাসিন্দা হেমন্ত কুমার মাহাতো (১৭)। রানীগঞ্জের টিডিবি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। জন্ম প্রতিবন্ধী হেমন্ত পড়াশোনায় মেধাবী। বাবা চা বিক্রেতা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে চায় সে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে শারীরিক প্রতিবন্ধীর শংসাপত্র থাকলেও নেই কাস্ট সার্টিফিকেট। ফলে পাওয়া যাচ্ছে না সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য মহাকুমা শাসকের হাত থেকে হেমন্ত পেয়েছে সম্বর্ধনা। সেই সময় কাস্ট সার্টিফিকেট না থাকার কথা মহকুমা শাসককে জানাই হেমন্ত। মহকুমা শাসক তাকে কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করার পরামর্শ দেয়। কিন্তু আবেদন করার পর সিভিডাবলু আধিকারিক এর রেকমেন্ড না থাকায় তা বাতিল হয়ে যায়। বাবা ও প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে হুইল চেয়ারের চেপে সোমবার কাজোরা পঞ্চায়েত অফিসে ধরনাতে বসে হেমন্ত। পঞ্চায়েত প্রধান মনীষা শর্মাকে সমস্যার কথা জানায় হেমন্ত। প্রধানের আশ্বাসে ধর্না প্রত্যাহার করে এদিন বাড়ি ফিরে যায় সে।
কাজোড়া পঞ্চায়েতের প্রধান মনীষা শর্মা বলেন হেমন্ত প্রতিবন্ধী হলেও খুবই মেধাবী ছাত্র । প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আবেদনের পর কাস্ট সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যাওয়াটা দুঃখজনক । এ ব্যাপারে পঞ্চায়েতের করণীয় কিছু নেই কিন্তু । কিন্তু সে যাতে কাস্ট সার্টিফিকেট পাই তার জন্য জেলাশাসক মহকুমা শাসকের কাছে তিনি দরবার করবেন বলে জানান ।