অর্থ/ব্ল্যাকমেলিংয়ের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ে যুক্ত জেলা সভাপতি-সাংসদ, অভিযোগ দুর্গাপুরের বিজেপি কর্মীদের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৯মার্চঃ
সারা রাজ্যের পাশাপাশি দুর্গাপুরেও বিজেপির প্রার্থী নির্বাচনকে ঘিরে অসন্তোষ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শুক্রবার খোদ দলে আসানসোল জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন দলের একাংশ কর্মী সমর্থকরা। গতকাল বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় দুর্গাপুর পূর্ব ও পান্ডবেশ্বর এই দুটি কেন্দ্রে কোনো আদি বিজেপি নেতা নয় বরং তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী দুজন ব্যাক্তিত্বকে প্রার্থী করা হয়েছে আর তাতেই ঘোরতর আপত্তি আদি বিজেপি কর্মীদের।
আদি বিজেপি কর্মী সোমনাথ দাস, কল্যান মজুমদার অভিযোগ, দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই তৃণমূলের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন। সমস্ত নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে তাদের মাথার উপর এমন মানুষদের বসিয়ে দিচ্ছেন যাদের কোনো নীতি নেই। পাশাপাশি এদিন তাঁরা লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বিরুদ্ধে এও অভিযোগ আনেন যে, লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের ভাইপো সহদেব ঘোড়ুইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে সে পলাতক। অথচ সাধারন বিজেপি কর্মীরা ছোট ছোট ঘটনাতেও আইনের প্যাঁচে পরে যাচ্ছেন। কিন্তু জেলা সভাপতির ভাইপো এতবড় অপরাধের পরেও এতদইন ধরে কি করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে তাঁরা পান্ডবেশ্বরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বর্তমানে বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারীর গোপন আঁতাত রয়েছে, আর তাঁরা একসময় সহদেব ঘোড়ুইকে নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন বলে তাদের দল থেকে হয় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে আর নয়ত বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করছেন দুর্গাপুরের আদি বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা।
এদিন তাঁরা দলের জেলা সভাপতি সাথে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার সাংসদের বিরুদ্ধে এরকম মারাত্মক অভিযোগও আনেন যে “অর্থ বা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে দুর্গাপুর পূর্ব ও পান্ডবেশ্বর এই দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী বাছাই হয়েছে।”
তাই এদিন তাঁরা এও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দল যদি তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে তাহলে দুর্গাপুরের দুটি বিধানসভা কেন্দ্রেই অন্য নির্দল প্রার্থী দেওয়া হবে।